ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

পুলিশকে সহযোগিতা করায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:১৩, এপ্রিল ৩, ২০১৮
পুলিশকে সহযোগিতা করায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম

বরগুনা: বরগুনার আমতলীতে পুলিশকে সহযোগিতা করায় বাবা সোহেল মোল্লা ও ছেলে রাসেলকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছেন মাদক ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (২ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০টার দিকে ৯৯৯ নম্বর থেকে আলম গাজীর বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে আলম গাজী এবং তার পরিবারের লোকজন আত্মগোপন করে।

এসময় পুলিশ কাউকে আটক করতে না পেরে অভিযুক্ত আলম গাজী এবং প্রতিবেশী আলামীন গাজীর দুটি টমটম জব্দ করে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মোকলেছের মাধ্যমে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রেখে যান।

ঘটনার দিন বিকেলে পুলিশের নির্দেশে আলম গাজীর প্রতিবেশী টমটম চালক দিন মজুর সোহেল মোল্লার ছেলে টমটম চালক রাসেল মোল্লা (১৮) ও বশির পলানের ছেলে শামীম (১৭) জব্দ টমটম দুটি চালিয়ে আমতলী থানায় নিয়ে আসে।

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার বিকেলে রাসেল অফিস বাজার থেকে আলম গাজীর বাড়ির সামনে দিয়ে নিজ বাড়ি ফিরছিল। এসময় পুলিশের নির্দেশ মত টমটম থানায় পৌঁছে দেওয়ার অপরাধে আলম গাজীর বাড়ীর সামনে আসা মাত্র  রাসেলের পথরোধ করে দাড়ায়  আলম গাজী, জামাল গাজী। কেন তাদের টমটম থানায় নেওয়ার কাজে পুলিশকে সহযোগিতা করা হয়েছে এরকম প্রশ্ন তুলেই রাসেলের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন আলমগাজী সহ আরো ৬/৭ ভাই।

একপর্যায়ে রাসেলের মাথায় দা দিয়ে আঘাত করে। এতে রাসেলে গুরুতর আহত হয়। এ সময় রাসেলের ডাক চিৎকার শুনে তার বাবা সোহেল মোল্লা ছেলেকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসলে তাকেও বেধড়ক মারধর করে আলম গাজী ও তার সঙ্গী মাদক ব্যবসায়ীরা।

আহত সোহেলের মা রাশেদা বেগম বাংলানিউজকে জানান, পুলিশের কামে যাওয়ায় মোর পোলা এবং স্বামীকে আলম গাজী, জামাল গাজী, কামাল গাজী, মাঈনুদ্দিন গাজী, নিজাম গাজী মিল্যা মাইরধইর করে। মোর স্বামী মাইরধইরের কারনে এহন রক্ত বমি করে। হ্যারে বাচাইয়া রাহা যাইবে কিনা হ্যা আল্লায় জানে।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, আলম গাজী এবং তার ভাইয়েরা মাদক বিক্রি এবং সেবনের সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় তাদের বিচার হওয়া উচিত।

আমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসএসআই) মিজানুর রহমান সিকদার বাংলানিউজকে জানান, আমার নির্দেশে জব্দ করা ২টি টমটম থানায় নিয়ে আসার অপরাধে রাসেল এবং তার বাবা সোহেলকে আলম গাজীর লোকজন পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সহিদ উল্যাহ বাংলানিউজকে জানান, পুলিশের কাজে সহযোগিতা করায় দিনমজুর বাবা ও ছেলেকে নির্দয়ভাবে আলম গাজী এবং তার ভাইয়েরা পিটিয়ে আহত করেছেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে ওদেরকে মামলা করার জন্য বলেছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ