সোমবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির বাংলানিউজকে বলেন, এখনো মামলা প্রক্রিয়াধীন। সন্দেহভাজন কাউকে আটক করা হয়নি।
নিহত রুবেলের মা হাসিনা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ‘শনিবার রাতে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়। ওই রাতেই আমি থানায় মামলা করতে যাই। কিন্তু পুলিশ মামলা নিতে দেরি করছে। ঘটনার পর আমি থানায় কয়েকবার গিয়েছি।
ছেলে হত্যায় কাউকে সন্দেহ করেন কী না জানতে চাইলে হাসিনা বেগম জানান, ক্যাম্পের মুরাদ নামে এক ছেলের সঙ্গে রুবেলের ঝামেলা চলছিল। কয়েকদিন আগে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়েছিল। এরপর থেকে মুরাদ প্রায়ই রুবেলকে হুমকি দিতো। আমার ধারণা মুরাদ আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। ’ মুরাদ ওই এলাকায় মাংস ব্যবসা করেন।
ছেলে হত্যায় সুবিচার পাওয়া নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন নিহত রুবেলের মা হাসিনা বেগম।
ওসি দাদন ফকির বলেন, মামলা এখন লিখা হচ্ছে। যেহেতু এটা হত্যা মামলা, তাই এখানে কোনো ধরনের গাফিলতির সুযোগ নেই।
হাসিনা বেগমের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, মুরাদ এ ঘটনায় জড়িত কী না তা যাচাই-বাছাইয়ের পর বলা যাবে।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিরপুর ১১ নম্বর সেক্টরের সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের পরিত্যক্ত যে দোকানে রুবেলকে হত্যা করা হয়েছিল সেখানে মাদকসেবন করা হতো। সেখানে হত্যাকারীরা ও রুবেলও নিয়মিত যেতো।
গত ৩১ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিহারী নিউ সোসাইটি মার্কেটে রুবেল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত রুবেল পেশায় একজন কসাই ছিলেন। তিনি মিরপুর-১১ নম্বরে এডিসি বিহারী ক্যাম্পে থাকতেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৮
এমএসি/এএটি