সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্যে সমুদ্র সৈকতে লেজার শো ছিল দর্শনার্থী এবং পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) ছিল কার্নিভালের দ্বিতীয় দিন।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সকালে পর্যটকদের কচিখালী-কটকা-ফাতরারচর-সুন্দরবন নৌ ভ্রমণের আয়োজন করা হয়। তবে এতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের কর্মকর্তাদেরই অংশগ্রহণ ছিল বেশি।
ফুটবল, ক্রিকেট, হাডুডু ও ভলিবলসহ বিভিন্ন খেলার আয়োজন ছাড়াও ছিল ঘুড়ি উৎসব।

বিকেল ৪টা থেকে সমুদ্র সৈকতের মূল মঞ্চে আয়োজন করা হয় ফোক ফ্যাস্টিভাল এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জেলা প্রশাসন এবং বিটিটিবির আয়োজনে এতে ফকির আলমগীর, ডলি শায়ন্তনী, সজল ব্যান্ডের পরিবেশনা ছিল রাত ৯টা পর্যন্ত। এছাড়া স্থানীয় শিল্পীরা এতে অংশ নেন।
তিন দিনব্যাপী আয়োজনে এছাড়াও বালু ভাস্কর্য প্রদর্শনী, বলিখেলা, সার্ফিং, প্যারাসেইলিং ও ডিজে শোসহ নানা আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিচ কার্নিভাল উপলক্ষে স্থানীয়ভাবে প্রচার প্রচারণা হয়নি। এছাড়া অনুষ্ঠান আয়োজনের নানা অব্যাবস্থাপনাও চোখে পড়েছে।
তৃতীয় ও শেষ দিন বিচ ক্লিনিংয়ের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে সকাল ১০টায়। নিয়মিত কর্মসূচি এবং সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করবে ব্যান্ড দল এলআরবি।

১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কুয়াকাটার এ সৈকতে লাল কাঁকড়ার পাশাপাশি কুয়া, বৌদ্ধ বিহার দর্শন করতে পারছেন পর্যটকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭
এমআইএইচ/আরবি