রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে বাসায় ঢুকে হামলা, মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মাকসুদা আক্তার মুক্তা মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে মাকসুদা আক্তার মুক্তা (৪৫) ও তার দুই ছেলে সাইফুল হাসান (২০) ও সিফাত হাসান (১৮) আহত হন।
ভুক্তভোগী মাকসুদা আক্তার মুক্তা জানান, সকাল ৮টার দিকে কিছু লোক পুলিশ পরিচয়ে তাদের বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করে। তারা প্রথমে বাসার কেঁচিগেট ভেঙে ভেতরে ঢোকে, পরে রুমের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। বাধা দিলে তার দুই ছেলেকে মারধর করে আহত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, পরে আমাদের একটি রুমে আটকে রেখে ট্রাক ভরে বাসার ফ্রিজ, খাট, নগদ ৪ লাখ টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআরসহ সব মালামাল নিয়ে যায়। আমরা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে এবং আহত অবস্থায় আমাদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মুক্তার দাবি, হামলাকারীরা সবাই মাস্ক পরিহিত ছিল, তবে তাদের মধ্যে ১০ থেকে ১২ জনকে চিনতে পেরেছেন।
এ ঘটনায় তিনি রেজাউল করিম সুজন, রাইসুল ইসলাম আসাদ, রাশেদা বেগম, সবুজ, বাবু ওরফে মুরগি বাবু, আরাফাত ইয়াসিন, শফিক, মোহন, সজিব বাবুর্চি ও তরিকসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সকাল ৮টার দিকে ১৫-২০ জনের একটি দল জোরপূর্বক গেট ও ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং এক নারী ও দুই যুবককে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেন, মূলত জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ রয়েছে। একটি পক্ষ নিজেরাই উচ্ছেদ করতে গিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
এমএমআই/আরবি