ঢাকা, সোমবার, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

অন্য নারীকে বিয়ে করতে বাধা দেওয়ায় খুন, প্রেমিকসহ গ্রেপ্তার ৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৫৮, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫
অন্য নারীকে বিয়ে করতে বাধা দেওয়ায় খুন, প্রেমিকসহ গ্রেপ্তার ৩

ঢাকা: রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকায় অন্য নারীকে বিয়ে করতে বাধা দেওয়ায় প্রেমিকের হাতে খুন হন রোকসানা নামের এক নারী। এ ঘটনায় ওই প্রেমিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- প্রেমিক সাইফুল (২৪), তার বোন সুমি আক্তার (৩২) ও ভগ্নিপতি এলাহিন ওরফে এলাহি ওরফে ইব্রাহিম (৪২)।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি জানান, শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে কদমতলী থানার জুরাইন বৌবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

কদমতলী থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’- এর মাধ্যমে কদমতলী থানার ডিউটি অফিসার জানতে পারেন, লাল মিয়া সড়কের হাজী মিছির আলীর বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার পাশে একটি সন্দেহজনক বস্তা পড়ে আছে। পরে কদমতলী থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে বস্তাটি খুলে একজন অজ্ঞাতপরিচয় নারীর মরদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে সিআইডির ফিঙ্গার প্রিন্ট শাখার মাধ্যমে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এর ভিত্তিতে নিহতের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে নিহতের বোন ও ভগ্নিপতি থানায় এসে জানান, রোকসানা বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে নিখোঁজ ছিলেন। থানার ডিউটি অফিসার তাদের মরদেহের ছবি দেখালে তারা রোকসানাকে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি মো. গোফরান হাওলাদার বাদী হয়ে কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

থানা সূত্রে আরও জানা যায়, মামলাটি রুজুর পর চারটি টিম তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে জুরাইন বৌবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা, পলিথিন, এবং ভিকটিমের স্যান্ডেল জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার এলাহি ইব্রাহিম জানান, ভিকটিমের সঙ্গে তার শ্যালক মো. সাইফুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে সাইফুল অন্য এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে ভিকটিম বাধা দেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সাইফুল, তার বোন সুমি ও দুলা ভাই এলাহি ইব্রাহিম পরিকল্পনা করে ভিকটিমকে হত্যা করেন।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন ডিসি তালেবুর।

এসসি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।