ফরিদপুর: কোনো তদবির কিংবা ঘুষ ছাড়াই মাত্র ১২০ টাকার আবেদন ফিতে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন ফরিদপুর জেলার ২৩ জন তরুণ। শতভাগ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের এ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল জলিল।
সম্প্রতি পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় কোনো প্রার্থীকে অর্থ, পৃষ্ঠপোষকতা বা সুপারিশের আশ্রয় নিতে হয়নি। নিয়োগপ্রাপ্তদের অধিকাংশই দিনমজুর বা নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তান। রোববার (৩১ আগস্ট) ফরিদপুর পুলিশ লাইন্সে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন এসপি মো. আব্দুল জলিল।
এ তালিকায় ২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও একজন নারী। ফলাফল ঘোষণার পর উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে আনন্দ-উল্লাস ও আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত জুন মাসে পুলিশ কনস্টেবল পদে যাঁচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এক হাজার ২১১ জন চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করেন। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ৩১ আগস্ট দিনব্যাপী মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং সেদিনই চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ২৩ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়।
নিয়োগ পাওয়া সিয়াম মোল্যা বলেন, আমার কোনো সুপারিশ ছিল না। ভেবেছিলাম চাকরিটা হবে না। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় নিজের নাম সবার ওপরে দেখে বিশ্বাস করতে পারিনি। এ স্বচ্ছ ও ন্যায্য প্রক্রিয়ার জন্য বর্তমান পুলিশ প্রশাসন ও নিয়োগ বোর্ডকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল জলিল বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়াটি শতভাগ স্বচ্ছতা ও নিয়ম অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে। তিনটি ধাপ— শারীরিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় যারা যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন, তারাই নিয়োগ পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের কাছে প্রত্যাশা থাকবে তারা দেশপ্রেম, ন্যায় ও সততার সঙ্গে মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।
আরআইএস