ঢাকা, রবিবার, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ১০ আগস্ট ২০২৫, ১৫ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

চাকরিচ্যুত কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৫৬, আগস্ট ১০, ২০২৫
চাকরিচ্যুত কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার দাবি ছবি: ডিএইচ বাদল

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের ওপর হামলার বিচার ও ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের কর্মীরা।

রোববার (১০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

কর্মকর্তাদের পক্ষে মো ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ৭ আগস্ট আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনরত নিরস্ত্র নিরহ চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের ওপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মদদে অর্ধশত নিরাপত্তাকর্মী আক্রমণ করে। এতে আমাদের অন্তত ২০ জন সহকর্মী ভাই-বোন গুরুতর আহত হন। কিন্তু গতকাল (শুক্রবার) বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাংকের বরাত দিয়ে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, আন্দোলনকারীরা ব্যাংকের কর্মকর্তা ও প্রহরীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। অথচ পত্রিকাগুলো জোটবদ্ধভাবে প্রহরী দল কর্তৃক লাঠিসোটা নিয়ে হামলার ছবি প্রকাশ করেছে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উল্টো বাদী হয়ে আমাদের আন্দোলনকারীদের নামে মিথ্যা মামলা করেছে। এ ঘটনার দায়ভার সম্পূর্ণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের। ঘটনার দিন ব্যাংকের এইচআরডি হেড আমির হোসেন পার্শ্ববর্তী সুরমা টাওয়ার থেকে নেমে আন্দোলনকারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করলে আন্দোলনকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ করেন। পরে তারই নির্দেশে পরিকল্পিতভাবে নিরাপত্তা প্রহরীরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ন্যাক্কারজনক এ হামলার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন,গত ২০ জুলাই ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা ও উপশাখার ৫৪৭ জন কর্মকর্তাদের পৃথক ই-মেইলের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে আমরা গত ২৮ জুলাই থেকে প্রধান কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করে আসছি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দাবি করেছে, ২০২১ সাল থেকে ব্যাংকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি রয়েছে। সাধারণত ব্যাংক নিজেদের অভ্যন্তরীণ ত্রুটি প্রকাশ না করলেও এ ব্যাংক নিজেরা দোষী দাবি করেছে। তাছাড়া আন্দোলনে উসকানিদাতা হিসেবে এস আলম গ্রুপ ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ লাবুর ব্যক্তিগত সচিবকে দায়ী করা হয়েছে। অথচ ২০২১ সাল থেকে প্রায় তিন বছর ধরে ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন কেডিএস গ্রুপের সেলিম রহমান। তার ব্যক্তিগত সচিব সাহেদ জামিলের তত্ত্বাবধানে যথাযথভাবে আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে স্বতন্ত্র পর্ষদ নিয়োগ করা হলেও তারা সুশাসন আনার পরিবর্তে নিজেরাই দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন। আমাদের ৫৪৭ জন নিম্নপদের কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করে গত এক বছরে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রায় দুই শতাধিক নির্বাহী ও কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে তাদের পূর্ব প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিকসহ বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। বর্তমান চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ার ও ইসি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ ঘুষ নিয়ে তাদের নিয়োগ দিয়ে শত কোটি টাকা আয় করেছেন। তাদের অপকর্মের কারণে আজ ব্যাংকটি ধ্বংসের মুখে। তাই আমরা চাই, এ দুর্নীতিবাজ পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করা হোক।

ডিএইচবি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।