রাজধানীর আদাবর এলাকায় বাস আসাদের। ছোট থেকেই রাজমিস্ত্রি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আসাদ ও তার সহযোগীরা কব্জিকাটা আনোয়ারের নির্দেশে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সস্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।
শেষ পর্যন্ত আসাদ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে ধরা পড়েছেন। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন সহযোগী ইউসূফ। আসাদ ওরফে আরশাদ প্রকাশ ওরফে আয়েশা নিজেও একটি গ্রুপের প্রধান। তার গ্রুপের নাম আয়েশা গ্রুপ।
রোববার (১৩ জুলাই) ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন ভাকুর্ত্যা এলাকা থেকে তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি সামুরাই জব্দ করা হয়। পরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খালিদুল হক হাওলাদার।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকায় আসাদ ও তার সহযোগীরা মাদক কারবারি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ভূমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এরইমধ্যে রাজধানীর আদাবর এলাকায় মো. আসাদ ও তার সহযোগীদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করতে দেখা যায়। এ সংক্রান্ত একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
পরে গত ২৯ জুন আদাবর থানা এলাকায় মাদক কারবারকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্রুতার জের ধরে মাদক কারবারি রাজুকে (২৫) আয়েশা ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন আদাবর থানায় আয়েশা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো জানান, আসাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর আদাবর থানায় হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, ও ডাকাতির প্রস্তুতিসহ সাতটি মামলা রয়েছে। তিনি জন্ম থেকে আদাবর এলাকায় বসবাস করেন। আগে রাজমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
পরে মোহাম্মদপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী আনোয়ার ওরফে কব্জিকাটা আনোয়ারের সঙ্গে অপরাধজগতে প্রবেশ করেন এবং আনোয়ারের অন্যতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত হন। তিনি ও তার সহযোগীরা কব্জিকাটা আনোয়ারের নির্দেশে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও পার্শ্বর্তী এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, ভূমি দখল, চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যাসহ বিভিন্ন সস্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন বলেও জানায় র্যাব।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, তারা সাধারণত দিনের বেলায় ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় কম জনসমাগমপূর্ণ স্থানে পথচারীদের জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল, ল্যাপটপ, ভ্যানিটি ব্যাগ ইত্যাদি মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করতেন। আর রাত গভীর হলেই বাসা বাড়ি, ফ্ল্যাটে কিংবা গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের মুখে সর্বস্ব লুটে নেয়।
এসসি/আরএইচ