দেশের শিল্পখাতকে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৩০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বিজয়ীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড শুধু একটি পুরস্কার নয়, এটি একটি দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ। আমরা চাই, শিল্পখাত উৎপাদনের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ ও শ্রমিক কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করুক।
তিনি বলেন, এ পুরস্কার দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অঙ্গীকারের প্রতিফলন। ১৬টি শিল্পখাতের ৭২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, শ্রমিক সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমের ভিত্তিতে ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়।
শ্রমিক-মালিক সমন্বয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, শ্রমিকদের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের মজুরি পরিশোধ করতে হবে। অনেক মালিক শ্রমিকদের সন্তানের মতো দেখেন—এটা প্রশংসনীয়।
শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে তিনি আইএলও’র নীতিমালা অনুসরণের ওপর জোর দেন। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে। গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড বাংলাদেশের শিল্পখাতকে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি শুধু পরিবেশবান্ধব শিল্পকে উৎসাহিত করছে না, বরং আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ড বাস্তবায়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আব্দুল হাফিজ, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের সহ-সভাপতি ও শ্রমিক প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
জিসিজি/আরএইচ