সিরিজের প্রথম টেস্টে ভালো খেলার পর দ্বিতীয় টেস্টের আগে দল বেশ আত্মবিশ্বাসী এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত। এমনটাই জানালেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) কলম্বোয় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সিরিজের শুরুতে এই আত্মবিশ্বাস থাকা বাংলাদেশের জন্য সাম্প্রতিক সময়ের তুলনায় কিছুটা বিরল ঘটনা।

সিমন্স বলেন, ‘প্রথম টেস্টে আমরা যেভাবে খেলেছি, তাতে অনেক আত্মবিশ্বাস এসেছে। সাধারণত আমরা সিরিজের প্রথম ম্যাচে একটু ধীরে শুরু করি। কিন্তু এবার শুরুতেই ছন্দে ছিলাম, যা আমাদের দ্বিতীয় টেস্টে বাড়তি বিশ্বাস জোগাচ্ছে। ’

বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে প্রথম টেস্ট হারার পর দ্বিতীয়টি ড্র করেছিল (নভেম্বর ২০২৪)। একই ফল হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও (এপ্রিল ২০২৫), যেখানে প্রথম টেস্ট হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল লাল-সবুজের দল।

যে কারণে ভরসা পাচ্ছেন সিমন্স, ‘ঢাকাতেই ছেলেরা নিজেদের প্রস্তুত করে রেখেছিল, যাতে এখানে এসে শুরু থেকেই ছন্দে থাকতে পারি। গলে ড্র করা আমাদের জন্য ভালো ফল এবং এরপর তিনদিনে বেশ ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। ছেলেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও উদ্দীপনা—দুটিই আছে। ’

উইকেট কেমন হবে, তা নিয়েও সতর্ক সিমন্স বলেন, ‘এখনো উইকেট আজকের মতো দেখিনি, তবে গতকাল যা দেখেছি, তা ভালোই মনে হয়েছে। কাল মাঠে নেমে গলে যেভাবে খেলেছিলাম, সেভাবেই খেলার চেষ্টা করব। কিছু জায়গায় উন্নতি দরকার, আমরা চাই সেই মান ধরে রাখতে বা আরও উন্নত করতে। ’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘ভালো খেললে মনও ভালো থাকে। খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে দৃঢ় এবং শারীরিকভাবে ফিট। দ্বিতীয় টেস্টের চ্যালেঞ্জ নিতে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। ’

সিমন্স জানালেন, মেহেদী হাসান মিরাজ দ্বিতীয় টেস্টে ফিরছেন, তবে তিনি খেললে একাদশ থেকে ছিটকে যেতে পারেন প্রথম টেস্টে পাঁচ উইকেট নেওয়া নাইম হাসান। কেমন পিচ হবে, তার ওপর নির্ভর করছে তারা তিন পেসার নিয়ে নামবে, নাকি তিন স্পিনার।

সিমন্স বলেন ‘এই সিদ্ধান্ত আজ রাতেই নেব। পিচ কেমন, সেটা বিশ্লেষণ করেই দল ঠিক করব—তিন স্পিনার নাকি তিন পেসার। এটা কঠিন ব্যাপার। নাইম গলে দারুণ খেলেছে, তাকে বাদ দেওয়া কঠিন। তবে সবাই জানে, কন্ডিশনের ওপর ভিত্তি করেই দল সাজানো হয় এবং দলীয় স্বার্থই এখানে প্রাধান্য পায়। ’

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা মনে করছেন, কলম্বোর টেস্টটি হতে যাচ্ছে ব্যাটিংবান্ধব ও উচ্চ স্কোরের ম্যাচ, যেখানে তাদের ব্যাটারদের বড় ইনিংস খেলে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।

‘আমরা সব সময়ই বড় প্রথম ইনিংসের কথা বলি। যদি আমরা বড় সংগ্রহ গড়তে পারি, তাহলে চাপটা চলে যায় প্রতিপক্ষের ওপর। এরপর বোলারদের কাজ ২০ উইকেট নেওয়া,’ — বলেন ধনঞ্জয়া।

তিনি আরও জানান, এমন উইকেটে সাধারণত শেষদিকে একটু স্পিন ধরা পড়ে। তাই শেষ দুই দিনে স্পিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

এমএইচএম