ঢাকা: মাতৃভাষায় সাংবাদিকতার সুরক্ষা ও বিকাশে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়নের জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
শুক্র ও শনিবার ‘মাতৃভাষায় সাংবাদিকতা’ বিষয়ক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী দিনে গৃহীত ‘কাঠমান্ডু ডিক্লারেশন’-এ এই আহ্বান জানানো হয়।
সম্মেলনটি শুক্রবার উদ্বোধন করেন নেপালের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার দেবরাজ ঘিমিরে এবং শনিবার সমাপ্তি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যপুর থিমি মিউনিসিপ্যালিটির মেয়র সুরেন্দ্র শ্রেষ্ঠ।
এতে মাতৃভাষাভিত্তিক গণমাধ্যমের টিকে থাকা ও সম্প্রসারণে রাষ্ট্রীয় সহায়তা ও বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়।
ঘোষণাপত্রে স্থানীয় ও আদিবাসী ভাষাভিত্তিক গণমাধ্যমের বিকাশ এবং এসব ভাষায় সাংবাদিকতাকে সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ ও সামাজিক ন্যায়বিচারের হাতিয়ার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে এসব জনগোষ্ঠীর যেন নিজেদের কথা বলার এবং তথ্য পাওয়ার উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম থাকে, তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
ঘোষণায় জাতিসংঘ ও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতি মাতৃভাষাভিত্তিক সাংবাদিকতায় অর্থায়ন, কারিগরি সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ দানের ওপর অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি মাতৃভাষাভিত্তিক সাংবাদিকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও ফেলোশিপ আয়োজনেরও সুপারিশ করা হয়।
ন্যাশনাল ফোরাম অব নিউয়ার জার্নালিস্টসের (এনএফএনজে) আয়োজনে এবং সার্ক জার্নালিস্টস ফোরাম (এসজেএফ) ও ফেডারেশন অব নেপাল ইন্ডিজেনাস জার্নালিস্টসের (ফনিজ) সহায়তায় আয়োজিত সম্মেলনে সার্কভুক্ত দেশগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা অংশ নেন।
সমাপনী বক্তব্যে মেয়র শ্রেষ্ঠ বলেন, ‘এই সম্মেলন মাতৃভাষাভিত্তিক সাংবাদিকতার প্রসারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে। ’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সার্ক জার্নালিস্টস ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজু লামা, ফনিজ সভাপতি লাকি চৌধুরী, এসজেএফের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মো. আবদুর রহমান (বাংলাদেশ), বিহার চ্যাপ্টারের সভাপতি ড. শশী ভূষণ কুমার, সম্মেলন সমন্বয়ক সুনীল মহার্জন এবং এনএফএনজের মহাসচিব কেকে মানান্ধর।
ঘোষণাপত্রে জানানো হয়, সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্ত সার্কভুক্ত দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হবে এবং জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হবে।
এসআইএস