ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৩ জুন ২০২৫, ১৬ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:১২, জুন ১১, ২০২৫
ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ বাস থেকে নামছেন যাত্রীরা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঈদের ছুটি প্রায় শেষ। গ্রামে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে কর্মমুখী মানুষ।

ঢাকার বাইরে থেকে বাসগুলো যাত্রী নিয়ে ফেরায় টার্মিনালে ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

বুধবার (১১ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন আন্তঃনগর বাস টার্মিনালে এমন চিত্র দেখা যায়।

রাজধানীর গাবতলীর টেকনিক্যালে সিনেমা হলের সামনে ফাতেমা পরিবহন থেকে নামেন এক যাত্রী। আসছে একে একে আরও একাধিক বাস। নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোর নির্বিশেষে গিয়েছিল গ্রামে ঈদ করতে। ঈদ উদযাপনের তৃপ্তিতে উবে গেছে তাদের ভ্রমণের ক্লান্তি।

মেহেরপুর থেকে আসা রাইসুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গ্রামে ঈদ ভালোই হয়েছে। বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে ঈদের দুদিন আগে গ্রামে গিয়েছিলাম। গ্রামে বাবা-মা, দাদা-দাদি ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে ঈদ করেছি। কোরবানি করেছি। পড়াশোনা ঢাকাতে, তাই ফিরে আসতে হলো।

এদিকে বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা ছাড়ার যাত্রীও কমে গেছে। ৫ থেকে ১০ জন যাত্রী পেলেই বাসগুলো ছেড়ে যাচ্ছে যাত্রী আনার জন্য।   

উত্তরবঙ্গের বড় নেটওয়ার্ক ন্যাশনাল পরিবহনের। এ কোম্পানিটির ৪০টি কোচ টাকা থেকে আপ-ডাউনে চলাচল করে। কোচটির সেলসম্যান রাকিবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, যাওয়ার সময় এখন কোনো গাড়িতে পাঁচজন, কোনোটিতে ১০ জন। আবার কোনো কোচে অর্ধেক যাত্রী যাচ্ছেন। আসার সময় কোচ বোঝাই হয়ে যাত্রী ঢাকায় ফিরছেন। এখন ঢাকার বাইরে বাসগুলো যাচ্ছে ঈদ শেষে যাত্রীদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনতে।

ন্যাশনাল গাড়ির সুপারভাইজার রাকিবুল ইসলাম জানান, এ যে ফাঁকা গাড়ি দেখছেন, আসার সময় পুরো কোচে যাত্রী থাকবে।

তিনি জানান, আসার সময় চন্দ্রা আর মানিকগঞ্জ থেকে যাত্রী নামা শুরু হয়। যমুনা বহুমুখী সেতু হয়ে আসা কোচগুলো থেকে চন্দ্রা, জিরানী, ইপিজেড, নবীনগর ও সাভার পর্যন্ত আসতে অধিকাংশ যাত্রী নেমে যান। যারা থাকেন তারা রাজধানীর মিরপুরের টেকনিক্যাল নামেন।

কুষ্টিয়া থেকে ঢাকামুখী এসবি পরিবহন আসার সময় কোচ লোড হয়ে আসছে। কিন্তু যাওয়ার সময় যাত্রী সংখ্যা কম, ১০ থেকে সর্বোচ্চ ২০ জন যাত্রী যাচ্ছে বলে জানান কোচটির সেলসম্যান কাজী সোহেব।

কাজী সোহেব জানান, গত পরশু সোমবার (৯ জুন) থেকে যাত্রী ফেরত আসা শুরু করেছে। প্রথম দিন তুলনামূলক কম যাত্রী এসেছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) থেকে কোচ বোঝাই হয়ে যাত্রী আসছে। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত সব সিট বুক হয়েছে। এ চাপ ২০ জুন পর্যন্ত থাকতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।  

পরিবহন কোম্পানির ১২ থেকে ১৪টি গাড়ি চলাচল করে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙা ও মেহেরপুর রুটে। অন্য রুটেও একই অবস্থা এসবির।

পরিবহন কোম্পানিটির টেকনিক্যাল সিনেমা হলের সামনে নামা যাত্রী আমিরুল ইসলাম বলেন, ঈদ করতে ঈদের দুইদিন আগে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম, আজ ফিরছি। সময় মতো ঢাকায় ফেরা নিয়ে সন্দেহ ছিল, যাক আলহামদুলিল্লাহ আসার পথে তেমন জ্যাম ছিল না। ভালোই ভালোই চলে এসেছি।

রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া ও চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসা হানিফ পরিবহনের কোচগুলোও ভর্তি হয়ে আসছে। পরিবহনটির কাউন্টার মাস্টার আবদুল আওয়াল জানান, ঢাকা আসতে হানিফের ১৭ তারিখ পর্যন্ত সব টিকিট বুক হয়ে আছে। আজকালের মধ্যে আরও ৫ থেকে ৬ দিনের টিকিট বুক হবে। এভাবে পুরো জুনে ঈদ ফেরত মানুষের চাপ থাকবে।

রাজশাহী থেকে ঢাকা এসেছেন এম এ করিম। তিনি একজন ব্যবসায়ী। করিম বাংলানিউজকে বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু হয়েছে। আজ পরিবারসহ ঢাকায় ফিরছি। বিকেলে ব্যবসার কাজে অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করবো। ফোনে খোঁজ নেবো, চাপ না থাকলে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল থেকে অফিস শুরু করতে হবে।

জেডএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।