ঢাকা: ভূমিকম্পসহ প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সব দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিশেষায়িত দল গঠন ও প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু করা হয়েছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মাল্টিপারপাস ট্রেনিং গ্রাউন্ড, পূর্বাচল, নারায়ণগঞ্জে এ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
এ সময় অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার, পিএসসি; ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অধ্যক্ষ জনাব মো. ওহিদুল ইসলাম, অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অপাঃ ও মেইনঃ) মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিনসহ বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অগ্নিনির্বাপণ, ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশেষায়িত টিম গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন স্টেশন থেকে ৫০ জন অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকর্মীকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মাল্টিপারপাস ট্রেনিং গ্রাউন্ড, পূর্বাচলে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিশেষায়িত এ প্রশিক্ষণ কোর্সটি আগামী মে পর্যন্ত চলবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের ভূমিকম্পের মতো বড় ধরনের দুর্যোগে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজের জন্য পেশাগতভাবে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি এ উদ্ধারকর্মীর জন্য পূর্বাচলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজের সরঞ্জাম সংরক্ষণ করা হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। বাংলাদেশও ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায় অবস্থিত। ভূমিকম্প বিশারদদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী যেকোনো সময় বাংলাদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। বিভিন্ন সময় সংঘটিত ছোট ছোট ভূমিকম্প বড় ধরনের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস বলে ধারণা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণ, সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে গণসংযোগ, মহড়া, সার্ভে ও পরিদর্শনসহ নানা কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এর সাথে এই বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দল ঢাকা শহরে যেকোনো দুর্যোগে বিশেষ করে ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আশা প্রকাশ করছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা জনবল ও উদ্ধার সাজ-সরঞ্জামসহ আমাদের অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ডিসেন্ট্রালাইজ করছি যেন বড় ধরনের ভূমিকম্পে সবাই একসঙ্গে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে অপারেশনাল ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ পায়। ’ তিনি আরও বলেন, ‘এই বিশেষায়িত কোর্সের মাধ্যমে যারা প্রশিক্ষিত হবে তারা বিশেষায়িত দল হিসেবে এ ধরনের দুর্যোগে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবে। ’
পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৫
এজেডএস/এএটি