নড়াইল: নড়াইলের কালিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি (৫৭) নিহত হয়েছেন এবং উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২৯ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম ফরিদ মোল্যা। তিনি কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত সুরুত মোল্যার ছেলে। ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদ মোল্যাকে ফরিদ মোল্যাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। আহতদের চিকিৎসার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে বশির মুন্সির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা ও আফতাব মোল্যা পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে ইতোপূর্বে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, থানায় উভয়পক্ষের একাধিক মামলাও রয়েছে। ঈদের দিন থেকে গ্রামটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে মিলন মোল্যা পক্ষের সানোয়ার নামে একজনকে নড়াইলে আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে একা পেয়ে আফতাব মোল্যার পক্ষের লোকেরা মারধর করে। এরই জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মিলনের পক্ষের লোকজন আফতাবের বাড়িতে হামলা করে। খবর পেয়ে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
আফতাব পক্ষের আহতরা হলেন- করিম মুন্সি (৪৯), হুসাইন শেখ (১৮), আশরাফ মোল্লা (৫০), বশির মুন্সি (৪৫), করিম মুন্সী (৩৭), জালাল মুন্সিসহ (৪৭) আরও অনেকে।
মিলন পক্ষের আহতরা হলেন- তৌহিদ মোল্লা (৫০), আলমিস শেখ (৩৫) নিরব মোল্লা (১২), হাসিব মোল্লা (১৫), কিবরিয়া শেখ (২৮), ওসমান মোল্লা (১৫), কামাল কাজী (৪০), তরিক শেখ (২৪), জাকারিয়া শেখ (২৫), দিদার শেখসহ (১৮) আরও অনেকে।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৫
এসআরএস