ঢাকা: সাভারে দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ও গুলি ছুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে তিন ট্রলার লুটের ঘটনা ঘটে। লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রলারে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকা এক লুটেরার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
এ ঘটনায় করা মামলায় আসামি অন্তর খানকে এখনও গ্রেপ্তার করতে না পারলেও লুট হওয়া তিন ট্রলার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে সাভার পৌর এলাকার কর্ণপাড়া মহল্লায় বংশী নদীর মিলন ঘাটে ওই ৩ ট্রলার লুটের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার দিন রাতেই ফুডনগর থেকে লুট হওয়া ট্রলার তিনটির মধ্যে একটি উদ্ধার করা হয়। পরদিন আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার ভাটিরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকি দুটি ট্রলার উদ্ধার করা হয়।
অন্তর খান ছাড়াও এ ঘটনায় বাকি আসামিরা হলেন - মাহাবুল্লাহ খানের ছেলে মোর্শেদ খান (২৫), মোশারফ খান (২৮), হৃদয় (২৫), রনি খান (৪২) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জন।
মিলন ঘাটের ইজারাদার কামরুল ইসলামের ছেলে হেদায়েতুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, মিলন ঘাট এলাকার নদী পারাপারের কাজে ওই তিনটি ট্রলার ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ইজারা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন আমার বাবা। ঘাটে এসে অন্তর ও তার বাহিনী ঈদ উপলক্ষে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গতকাল বিকেলে অন্তরসহ কয়েকজন পিস্তল নিয়ে ঘাটের মাঝিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৩টি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ঘাটে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য তারা তিন রাউন্ড গুলিও ছোড়ে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে রাতেই একটি ও আজ বিকেলে দুটিসহ তিনটি ট্রলারই উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ঘটনার পর আসামিরা গা-ঢাকা দেওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে তাদের কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) জুয়েল মিঞা বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পরপরই লুট হওয়া একটি ট্রলার উদ্ধার করা হয়। পরে আজ বিকেলে অভিযান পরিচালনা করে আরও দুটি নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজে নেমেছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৫
এসএএইচ