ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ রপ্তানি কমার আশঙ্কা করছেন এ খাতের উদ্যোক্তা নেতারা।
তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক বোঝার কারণে অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ক্রয়াদেশ স্থগিত করতে শুরু করেছে। আবার অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মূল্যছাড়ও চাইছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় বিজিএমইএ নির্বাচনী জোট ফোরামের কার্যালয় ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা এসব কথা বলেন।
ফোরাম প্যানেল নেতা মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কী চায়, তা জেনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। গত মার্চে তৈরি পোশাক খাতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়ছে, তবে সামনে সংকট। অবিলম্বে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে হবে। সরকার-বেসরকারি উদ্যোগে এখানে পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত বদল করা যাবে না।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কী চায়, আগে সেটা জানতে হবে সরকারকে। অনাকাঙ্ক্ষিত এই সুনামিতে পোশাক রপ্তানি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে, যা অথনৈতিক ও সামাজিক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, যখন পোশাকের ন্যায্য দাম না পাওয়ার চ্যালেঞ্জ চলমান, তখন লোকসান কমাতে নতুন করে মূল্যছাড়ের দাবি করছে তারা (ক্রেতা প্রতিষ্ঠান)। প্রকৃত পরিস্থিতি কী, তাতে নজর রাখাটা জরুরি।
পাকিস্তান ও ভারতের শুল্ক হার তুলনামূলক কম বেড়েছে উল্লেখ করে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, এতে যেসব কারখানার পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে বড় অংশ রপ্তানি হয়, তারা প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াবে। আমরা সেখানে পিছিয়ে পড়ব।
ফোরাম মহাসচিব ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী বলেন, গত শত বছরের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেনি। দেশটি থেকে প্রয়োজনে আমদানি বাড়িয়ে শুল্ক কমানো যায় কি না, সেই উদ্যোগ নিতে হবে। অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে রপ্তানি খাত যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
গত ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন শুল্কনীতি ঘোষণা করেন। তিনি বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৫
জেডএ/এমজেএফ