ময়মনসিংহ: হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পর মো. জুয়েল মিয়া (২৫) নামে এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (০৭ জুলাই) দুপুরে ময়মনসিংহের বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. শাহাদত হোসেন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল মিয়া জেলার তারাকান্দা উপজেলার ঢাকুয়া গ্রামের জনাব আলীর ছেলে।
মামলায় সরকার পক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০১১ সালে তারাকান্দা উপজেলার ঢাকুয়া গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল মিয়ার নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে মামলা দায়ের করেন তার চাচা মো. নূরুল ইসলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জুয়েল ২০১৩ সালের ১৯ মে নুরুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করেন। এ সময় তার ডাক চিৎকারে ভাতিজা রাসেল (২০) ও স্ত্রী হাজেরা খাতুন এগিয়ে এলে তাদের ওপর আক্রমণ চালান জুয়েল ও তার লোকজন।
এ ঘটনায় ওই বছরের ২৩ মে রাসেলের মৃত্যু হলে ওইদিনই চাচা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে তারাকান্দা থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল হলে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ, বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা শেষে অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে আদালত জুয়েল মিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। একই সঙ্গে অন্য আসামিদের বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. হারুনুর রশিদ। তবে রায়ের বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২৩
এফআর


