খুলনা: খুলনায় অবিরাম বৃষ্টির কারণে ঈদগাহের পরিবর্তে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামাত মসজিদে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেও নামাজের জামাতে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টায় খুলনার প্রথম ও প্রধান জামাত শহরের টাউন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।
তবে খুলনার ঐতিহ্যবাহী সার্কিট হাউস ময়দানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটি বাতিল করা হয়।
বৃষ্টিপাতে সার্কিট হাউস ময়দানে পানি জমে কর্দমাক্ত হয়ে পড়ায় জেলা প্রশাসন ও খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) কর্তৃপক্ষ জামাত বাতিলের এ সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রধান জামাতে ইমামতি করেন খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি ও টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ সালেহ। নামাজ শেষে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
খুলনার প্রধান জামাতে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী-শিল্পপতিসহ নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সাধারণ মানুষ।
পরে টাউন জামে মসজিদে আরও দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা আলিয়া মাদরাসা মডেল মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৭টায়।
এছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশন পরিচালিত বায়তুন নূর মসজিদে সকাল সোয়া ৮টা ও সোয়া ৯টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে সকাল সোয়া ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
সরকারি বিএল কলেজ জামে মসজিদে সকাল ৭টায়, নিরালা তাবলীগ মসজিদে ৭টা ১৭ মিনিটে, নিরালা জামে মসজিদে সকাল ৭টায়, হরিণটানা আল আকসা মসজিদে সকাল ৭টায়, রায়পাড়া মসজিদে মিনায় সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
শিরোমনি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত সকাল ৮টায়। শিরোমনি বাজার জামে মসজিদে দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমটি সকাল সাড়ে ৭টায় ও দ্বিতীয়টি সকাল সাড়ে ৮টায়। গিলাতলা গাজীপাড়া ঈদগাহ, গিলাতলা মোল্লাপাড়া ঈদগাহ, গিলাতলা শেখ পাড়া জামে মসজিদ, গিলাতলা বায়তুল আকসা জামে মসজিদ, শিরোমনি মধ্যপাড়া দিঘীরপাড় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে পৃথক পৃথক সময়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৮ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৩
এমআরএম/আরবি


