লন্ডন: টিউলিপ কি ব্রিটেনের শ্যাডো কেবিনেট মেম্বার হচ্ছেন? নবনির্বাচিত লেবার নেতা জেরিমি করভিন এমপি জুনিয়র মেম্বার হিসেবে তার শ্যাডো কেবিনেটে টিউলিপকে নিচ্ছেন, এমন খবর যুক্তরাজ্যের কমিউনিটিতে এখন বেশ আলোচিত।
তথ্যের সত্যতার জন্য টিউলিপের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও লন্ডনের বাইরে অবস্থান করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাকে পাওয়া যায়নি।
সূত্রটি জানায়, এর আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন সংসদ সদস্য রোশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিক ও রূপা হককে শ্যাডো কেবিনেটে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন লেবার পার্টির নেতা, পার্টির প্রবীণ বামপন্থী সদস্য জেরিমি করভিন। কিন্তু তিন বঙ্গকন্যাই তাৎক্ষনিক তা গ্রহণ করেননি।
জেরিমি করভিন পার্টিকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, সময় নিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতেই তার ওই আমন্ত্রণে তাৎক্ষনিক সাড়া দেননি তিন বাঙালি এমপি। তাছাড়া লিডারশিপ নির্বাচনে এই তিন এমপি’র কেউই জেরিমি করভিনের সমর্থক ছিলেন না।
সম্প্রতি চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার ও ফার্স্ট সেক্রেটারি অব স্টেইট জর্জ অজবর্ন চীন সফরকালীন সময়ে ১১ দশমিক ৮ বিলিয়নের হাইস্পিড রেললাইন প্রজেক্ট কন্ট্রাক্টে বিড করার জন্য চীনা কোম্পানিগুলোকে আহ্বান জানালে এ ইস্যুতে এক সাক্ষাতকারে কথা বলেন টিউলিপ। এরপর থেকে গুঞ্জন আরও ছড়িয়ে পড়ে তিনি শ্যাডো কেবিনেটে ট্রান্সফোর্ট বিভাগের দায়িত্ব পাচ্ছেন। তবে ট্রান্সপোর্ট নয়, সংস্কৃতি, মিডিয়া ও ক্রীড়া বিভাগের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন টিউলিপ সূত্রগুলো এমনটাই নিশ্চিত করেছে বাংলানিউজকে। এই বিভাগে মন্ত্রীর (শ্যাডো সেক্রেটারি অব স্টেইট ফর কালচার মিডিয়া ও স্পোর্টস) দায়িত্ব পালন করছেন মাইক্যাল ডাগার।
সূত্রগুলো জানায়, এখনও পার্টি ওয়েবসাইটে না আসলেও বৃহস্পতিবার রাতেই লেবার লিডার জেরিমি করভিন টিউলিপকে কালচার, মিডিয়া ও স্পোর্টস বিভাগের জুনিয়র শ্যাডো মন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেন পার্টি ফোরামে। যার ইঙ্গিত শুক্রবার সকালেই টিউলিপ এক টুইট বার্তায় প্রকাশ করেন। বার্তায় তিনি বলেন, ‘ভেরি এক্সাইটেড টু বি ওয়ার্কিং উইথ মাইক্যাল ডাগার এজ হিজ পিপিএস। দ্য হোল শ্যাডো ডিসিএমএস উইল বি এ স্ট্রং পজটিভ ভয়েস ইন পার্লামেন্ট’।
লিডারশিপ প্রতিযোগিতায় পরাজিত প্রার্থী অ্যান্ডি বার্নহামের সমর্থক ছিলেন টিউলিপ। অ্যান্ডি শ্যাডো কেবিনেটে হোম সেক্রেটারি হিসেবে যোগ দেওয়ায় টিউলিপও কেবিনেটে যাচ্ছেন এমন খবরের ডালপালা আরও বিস্তার লাভ করে।
অবশ্য কেউ কেউ বলছেন, জেরিমি করভিনের লিডারশিপ ভবিষ্যৎ পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত টিউলিপসহ বাঙালি তিন এমপি’র কেউই শ্যাডো কেবিনেটে যাবেন না।
তবে গুঞ্জন যাই হোক, শ্যাডো কেবিনেটে টিউলিপ যাচ্ছেন কিনা, এটির অপেক্ষাতেই আছেন এখন ব্রিটেনের মূলধারায় সম্পৃক্ত বাংলাদেশিরা। সঙ্গে অপেক্ষায় কমিউনিটিও।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৫, আপডেট ২০০৬, ০৩৩৬
আইএ


