ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পাপুলের এমপি পদ নিয়ে আবেদন আপিল বিভাগেও খারিজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২১
পাপুলের এমপি পদ নিয়ে আবেদন আপিল বিভাগেও খারিজ

ঢাকা: কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনে মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদ শূন্য ঘোষণা করে জারি করা গেজেট ও উপ-নির্বাচনের তফসিলের বৈধতা নিয়ে করা আবেদন হাইকোর্টের পর এবার আপিল বিভাগও খারিজ করে দিয়েছেন।

হাইকোর্টে ওই রিট খারিজের পর আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন তার বোন নুরুন্নাহার বেগম ও নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবক শাহাদাত হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ভার্চ্যুয়াল আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এছাড়া নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে ওই আসনের বিএনপি নেতা আবুল খায়ের ভূঁইয়ার আবেদন খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই আদেশের বিরুদ্ধে আবুল খায়ের ভুইঁয়ার আবেদনের ওপর নো-অর্ডার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে ওই আসনে ২১ জুন নির্বাচন হতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে পাপুলের বোন ও প্রস্তাবক শাহাদাত হোসেনের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। বিএনপি নেতার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

গত মঙ্গলবার (৮ জুন) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রিট খারিজ করে দিয়েছিলেন। এরপর তারা আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কুয়েতে পাপুলের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের শুরুতে মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগ ওঠে। পরে ওই মামলায় তিনি কুয়েতে গ্রেফতার হন।

আরও পড়ুন: পাপুলের আসন শূন্য ঘোষণার বৈধতার রিট খারিজ

গত ২৮ জানুয়ারি কুয়েতের আদালত পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করা হয়।

২২ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান একটি গেজেট জারি করে। ওই গেজেটে বলা হয়, কুয়েতের ফৌজদারি আদালতের গত ২৮ জানুয়ারি ঘোষিত রায়ে নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬(২) (ঘ) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য নন। সেই কারণে সংবিধানের ৬৭(১) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রায় ঘোষণার তারিখ ২৮ জানুয়ারি থেকে তার আসন শূন্য হয়েছে।

এরপর ৪ মার্চ নির্বাচন কমিশন ওই আসনে ১১ এপ্রিল উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে আগামী ২১ জুন নির্ধারণ করা হয়।

এর মধ্যে তার বোন নুরুন্নাহার বেগম ও তার নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবক শাহাদাত হোসেন রিট করেন।

বিএনপি নেতার আবেদন আবুল খায়ের ভূঁইয়ার দাবি, ২০১৮ সালের নির্বাচনে শহিদ ইসলাম পাপুলের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে নিয়ে ইলেকশন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিলেন। কিন্তু সে মামলা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। তাই তফসিল স্থগিত চেয়ে রিট করেন। ১৪ জুন সেই রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এরপর তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

** পাপুলের আসন নিয়ে এবার আপিল বিভাগে আবেদন

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২১
ইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।