ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২৪ সফর ১৪৪৭

আইন ও আদালত

গোল্ডেন মনিরের অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি ২৯ মার্চ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৪, মার্চ ১৬, ২০২১
গোল্ডেন মনিরের অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি ২৯ মার্চ

ঢাকা: দোকানের কর্মচারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ ছুটিতে থাকায় মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) ভারপ্রাপ্ত বিচারক কে এম রবিউল আলম অভিযোগ গঠন শুনানির নতুন এই দিন ধার্য করেন।

গত ৮ মার্চ এই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে চার্জ শুনানির জন্য ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

গত ২০ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে আদালতে অস্ত্র ও মাদক মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের পরিদর্শক আব্দুল মালেক। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিচারের জন্য এই আদালতে বদলির আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।

অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে ১৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এই আইনে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

গত বছর ২১ নভেম্বর সকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার নিজ বাসা থেকে গোল্ডেন মনিরকে আটক করা হয়। এ সময় তার বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০ দেশের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

এছাড়া, তার বাড়ি থেকে অনুমোদনহীন দুটি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়, যার প্রতিটির বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। তার ‘অটো কার সিলেকশন’ নামের গাড়ির শোরুম থেকে আরও তিনটি অনুমোদনহীন বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি। তবে প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেছেন মনির।

একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। এর আগেও গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এবং রাজউকের একটি মামলা রয়েছে। মনির মূলত একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী ও স্বর্ণের চোরাকারবারি। এ থেকেই মনির পরিচিতি পান ‘গোল্ডেন মনির’ হিসেবে।

গত ২১ নভেম্বর আটক করার পর র‌্যাব-৩ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া গোল্ডেন মনিরকে বাড্ডা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় র‌্যাব বাদী হয়ে মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা ও মাদক আইনে তিনটি মামলা দায়ের করে।

বাংলদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।