ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২৪ সফর ১৪৪৭

আইন ও আদালত

জামিনের জন্য পেশকার নেন সাত লাখ টাকা, ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৫২, অক্টোবর ২০, ২০২০
জামিনের জন্য পেশকার নেন সাত লাখ টাকা, ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

ঢাকা: এক আসামিকে দ্রুত জামিন করিয়ে দেওয়ার আশ্বাসে সাত লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) জালাল হোসেনের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে একটি অভিযোগ করেন।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজকে একটি চিঠি দিয়েছেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, রামপুরা থানার ০৯ (২)২০ মামলায় চলতি বছর ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন বিপ্লব হোসেন নামে এক ব্যক্তি। ছেলে বিপ্লবের জামিনের জন্য আইনজীবী নিয়োগ করেন তার মা হামিদা বেগম। তবে দ্রুত জামিন করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আসামি বিপ্লবের মায়ের কাছ থেকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সাত লাখ টাকা ঘুষ নেন পেশকার জালাল।

তবে আশ্বাস অনুযায়ী আসামিকে জামিন করাতে না পারায় হামিদা পেশকার জালালের কাছে সেই টাকা ফেরত চান। টাকা পরিশোধে পেশকার জালাল তিন লাখ টাকার একটি ও দুই লাখ টাকার একটি চেক দেন। এছাড়া দুই লাখ টাকা নগদ ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে ভুক্তভোগী সেই চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারেননি এবং নগদ দুই লাখ টাকাও ফেরত পাননি।

এমতাবস্থায় প্রতারণার আশ্রয়ে এ সাত লাখ টাকা আত্মসাতের আশঙ্কায় গত ১৫ অক্টোবর ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান ওই পেশকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকার মহানরগর দায়রা জজ বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়, ‘যেহেতু আইনজীবী ব্যতিত আদালতের কোনো কর্মচারী আসামি পক্ষে মামলা গ্রহণ, পরিচালনা, জামিন করানোসহ টাকা নিতে পারে না বিধায় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বেঞ্চ সহকারী জালালের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ায় মর্জি হয়। ’

এ চিঠির একটি অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজকেও (জালাল যে আদালতের পেশকার) দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান বাংলানিউজকে বলেন, পেশকার জালাল অনেকের কাছ থেকে এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। হামিদা নামে এ অভিযোগকারী তার বিরুদ্ধে সাত লাখ টাকা নেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছেন। সে নিজেও আমাদের কাছে মোবাইলে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। একজন বেঞ্চ সহকারী এমন কাজ করে অবশ্যই অপরাধ করেছেন। তাই আমরা মহানগর দায়রা জজ বরাবর চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২০
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।