ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭ মহররম ১৪৪৭

আইন ও আদালত

গাইবান্ধার ৫ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা শুরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৮, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
গাইবান্ধার ৫ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা শুরু

ঢাকা: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৭৬ পৃষ্ঠার এ রায় পড়া শুরু করেন।

এ মামলায় প্রসিকিউটর ছিলেন মোখলেসুর রহমান বাদল।

আর আসামিপক্ষে আইনজীবী আবুল হাসান মামলা পরিচালনা করেন।

এর আগে গত ২১ জুলাই এ মামলার শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখেন। মামলায় মোট আসামি ছিলেন ছয়জন। তাদের মধ্যে মো. রঞ্জু মিয়া গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।

পলাতক আসামিরা হলেন- রাজাকার কমান্ডার আবদুল জব্বার (৮৬), মো. জাফিজার রহমান খোকা (৬৪), মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল (৬২), মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ (৬৮) ও মো. আজগর হোসেন খান (৬৬)। এদের মধ্যে আজগর হোসেন খান মারা গেছেন।

তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট-অগ্নিসংযোগ, ভয়-ভীতি এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ধর্মান্তর ও দেশান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

আসামিরা গাইবান্ধা সদরের নান্দিদা ও ফুলবাড়ী গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এবং সবাই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। আসামিদের মধ্যে মো. আবদুল জব্বার, মো. জাফিজার রহমান খোকা ও মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল ১৯৭১ সালের আগে থেকেই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। জব্বার ও খোকা মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৯৭২ সালে গ্রেফতার হলেও তাদের কোনো বিচার হয়নি।

খোকার বর্তমান ঠিকানা রাজধানীর কাফরুল থানার উত্তর ইব্রাহিমপুর। তিনি ১৯৭৫ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালে অবসর নেন। মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ ১৯৭৪ সালে কৃষি বিভাগে চাকরিতে যোগ দিয়ে ২০১২ সালে অবসর নেন বলে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার অভিযোগে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর  ১৫, ২০১৯
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।