ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭ মহররম ১৪৪৭

আইন ও আদালত

বর-কনেসহ নিহত ১১ জনের পরিবারকে কোটি টাকা করে দিতে নোটিশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৩৯, জুলাই ১৭, ২০১৯
বর-কনেসহ নিহত ১১ জনের পরিবারকে কোটি টাকা করে দিতে নোটিশ রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার ফাইল ফটো

ঢাকা: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে উঠে যাওয়া বিয়ের মাইক্রোবাসকে ট্রেনের ধাক্কায় বর-কনেসহ নিহত ১১ জনের পরিবারকে কোটি টাকা করে দিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহতদের দিতে বলা হয়েছে ১০ লাখ টাকা করে।

বুধবার (১৭ জুলাই) মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব এ নোটিশ পাঠান। রেল সচিব, রেলওয়ের মহাপরিচালক, এলজিআরডি সচিব এবং এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলীকে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

 

১৫ জুলাই সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বেতকান্দির অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেন ও মাইক্রোবাস সংঘর্ষে বর-কনেসহ ১১জন নিহত হন।

নোটিশে এ ঘটনায় নিহত প্রতেক্যের পরিবারকে ১ কোটি টাকা, ওই ঘটনায় আহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো লেভেল ক্রসিং স্থাপন থেকে বিরত থাকা, সারাদেশের অবৈধ লেভেল ক্রসিং বন্ধ, সব লেভেল ক্রসিংয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যথাযথ গেটম্যান দেওয়া ও ট্রেনের ছাদে যাত্রী বহন না করতে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

নোটিশ গ্রহণের পর এ বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে বলে জানান ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব।  

১৫ জুলাই সন্ধ্যার দিকে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেল সড়কে উল্লাপাড়া উপজেলার বেতকান্দি এলাকায় অরক্ষিত ক্রসিং পার হওয়ার সময় পদ্মা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় প্রাণ হারান বিয়ের মাইক্রোবাসে থাকা বর-কনেসহ ১১ জন যাত্রী।

নিহতরা হলেন- সদ্য বিবাহিত বর সদর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে রাজন শেখ (৩২), কনে উল্লাপাড়া উপজেলার এনায়েতপুর গুচ্ছগ্রামের মৃত গফুর শেখের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (২১), বরের মামা কান্দাপাড়া গ্রামের শামীম হোসেনের ছেলে আলিফ ওরফে বায়েজিদ (৯), বরযাত্রী চুনিয়াহাটি গ্রামের ভাষা শেখ (৫৫), রামগাতি এলাকার আব্দুল মতির ছেলে আব্দুস সামাদ (৫০), তার ছেলে শাকিল (২০), বরের বন্ধু দিয়ারধানগড়া এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে শরীফুল ইসলাম (২৬), চাচাতো ভগ্নিপতি রায়গঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণদিয়ার গ্রামের আলম শেখের ছেলে খোকন শেখ (৩৫), কনের বড় ভাই উল্লাপাড়া উপজেলার এনায়েতপুর গুচ্ছগ্রামের আশরাফ আলীর স্ত্রী মমতা বেগম (৩৫), মাইক্রোবাস চালক কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল গ্রামের নূরে আলম স্বাধীন (৫৫), চালকের সহকারী সয়াধানগড়া এলাকার সুরুত আলীর ছেলে আব্দুল আহাদ সুজন (২১)।  

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- বরের ভগ্নিপতি পৌর এলাকার রায়পুর এলাকার আবু মুছার ছেলে সুমন (৩০), কান্দাপাড়া গ্রামের ইয়াকুবের ছেলে বায়েজিদ (২৮), মাসুদ সরকারের ছেলে ইমরান সরকার (২৭), বাবুর ছেলে লাদেন (১৬) ও টুটল (৩০)।  

পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়া রাতেই মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১৬ জুলাই বেলা ১১টার থেকে দুপুর (বাদ জোহর) পর্যন্ত নিজ নিজ এলাকায় নিহতদের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার ও আহতদের ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি হারুন মজুমদার।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।