দীর্ঘ দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসনক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে গত বছরের জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের গণহত্যার ঘটনায় নতুন করে আলোড়ন তুলেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। ‘দ্য ব্যাটল ফর বাংলাদেশ: ফল অব শেখ হাসিনা’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আন্দোলন দমনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের আদেশ দেন।
জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান দমনে নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের গুলি-নির্যাতনসহ সহিংসতায় নিহত হন অন্তত ১৪০০ জন। আইনবিদদের মতে, যেহেতু এসব হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ সরাসরি প্রধানমন্ত্রী পর্যায় থেকে এসেছে, তাই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের দায় শেখ হাসিনার ওপরই বর্তায়। এ প্রেক্ষাপটে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারিক প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
আইনবিদরা জানিয়েছেন, পুলিশ আত্মরক্ষা ব্যতীত প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে না। আর কোনো কারণে পরিস্থিতির অবনতি হলে, কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র বা গুলির ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, তিনি না থাকলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তারা না থাকলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। ম্যাজিস্ট্রেট বা এ ধরনের কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কোনো রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের গুলির মতো অস্ত্র প্রয়োগের আদেশ দেওয়ার কোনো সুযোগ আইনে নেই। তাই যিনি এ ধরনের আদেশ দেবেন, আইনের দৃষ্টিতে তিনিই অপরাধী।
পুলিশ কখন গুলি চালাতে পারে
মানুষের জানমালের ক্ষতি করলে বা সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করলে বা সে ধরনের আশঙ্কা তৈরি হলে পুলিশকে ওই বে-আইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার আইনি অধিকার দেওয়া হয়েছে। পুলিশের এই অধিকার মূলত, প্রয়োগ হয় দণ্ডবিধি ১৮৬০, পুলিশ আইন ১৮৬১, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এবং পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল (পিআরবি) ১৯৪৩ সালের মাধ্যমে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, পিআরবির ১৫৩ ধারা অনুযায়ী তিনটি ক্ষেত্রে পুলিশ গুলি চালাতে পারে। প্রথমত, আত্মরক্ষা বা সম্পত্তি রক্ষার্থে (দণ্ডবিধির ৯৬ থেকে ১০০ ধারা অনুযায়ী)। এসব ধারায় একজন সাধারণ নাগরিকের মতো পুলিশও আত্মরক্ষার্থে প্রয়োজনে অন্যের প্রাণহানির অধিকার রাখেন। দ্বিতীয়ত: কোনো পরিস্থিতিতে গ্রেপ্তার করতে (ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৬ ধারা অনুযায়ী)। তৃতীয়ত: বে-আইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য। (ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ ও ১২৮ ধারার বিধান অনুযায়ী)।
বে-আইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে গুলির মতো চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আগে পুলিশকে আরও কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। এক্ষেত্রে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলি চালানো বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে করা একটি রিট পিটিশনে আদেশে গত বছর ৪ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। বে-আইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গে গুলির প্রয়োগের বিষয়ে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, যদি কেউ আইন লঙ্ঘন করে তবে পুলিশ বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ব্যবহার করতে পারবে। আইনের লঙ্ঘন না হলে বা দাঙ্গা না বাঁধলে কোনো তাজা গুলি ব্যবহার করা যাবে না।
বে-আইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গে গুলি
সাধারণভাবে প্রত্যেক ব্যক্তির সভা-সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার সংবিধানে দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে। ’
তবে এই সমাবেশ অনেক সময় বে-আইনি সমাবেশে পরিণত হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪১ ধারা অনুযায়ী পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমাবেশ বে-আইনি সমাবেশ হবে যদি প্রথমত- সরকারি কর্মচারীকে আইনানুগ ক্ষমতা প্রয়োগে অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ বা বলপ্রয়োগের হুমকি প্রদান করা হয়, দ্বিতীয়ত- কোনো আইনগত ব্যবস্থা বাস্তবায়নে বাধা দেওয়া হয়, তৃতীয়ত- দুষ্কর্ম বা অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ বা অন্যবিধ অপরাধ সংঘটন করা হয়, চতুর্থত- কোনো ব্যক্তির প্রতি অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ বা বলপ্রয়োগের হুমকি দিয়ে সম্পত্তির অধিকার ও আনুষাঙ্গিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয় এবং পঞ্চমত- প্রথমে বে-আইনি না হলেও পরে যদি তা বে-আইনি সমাবেশে পরিণত হয়। আর এ ধরনের সমাবেশে মারাত্মক অস্ত্রসহ অংশ নিলে উক্ত আইনের ১৪৮ ধারা মোতাবেক তাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এ ধরনের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ব্যবস্থা হিসেবে পুলিশ গুলি চালাতে পারে।
কে গুলির আদেশ দিতে পারেন
পুলিশ রেগুলেশনের প্রবিধান ১৪৫ অনুসারে দাঙ্গা ও গোলযোগের সময় পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও সশস্ত্র পুলিশ দল মোতায়েন করতে পারে। একই আইনের প্রবিধান ১৫১ অনুসারে, ‘যখন কোনো দাঙ্গা দমন বা বে-আইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য নিয়োজিত একটি সশস্ত্র দলের সঙ্গে একজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকেন, তখন– (১) পুলিশ দলের অধিনায়ক কর্তৃক পুলিশের দায়িত্ব বিন্যাস কাজে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন না; (২) কখন বলপ্রয়োগ করতে হবে এবং কখন গুলিবর্ষণ করতে হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তিনি দায়ী থাকবেন; (৩) যখন প্রয়োজন দেখা দেয় তখন তিনি পুলিশ দলের অধিনায়ককে বলপ্রয়োগ বা গুলি চালানোর নির্দেশ দেবেন। কিন্তু এ ধরনের নির্দেশাবলী প্রদানের পর তা প্রতিপালনের জন্য দলবিন্যাসের এরূপ অফিসারের স্ববিবেচনা ব্যাহত করবেন না; (৪) প্রবিধান ১৫৩ (গ) (২) দ্বারা নির্ধারিত সতর্কবাণী প্রচার করবেন; (৫) প্রবিধান ১৫৫ (ঘ)-এর অধীনে গুলি চালানো বন্ধ করার জন্য অধিনায়ককে নির্দেশদানের ক্ষমতা তার আছে; (৬) যখন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহৃত হয় তখন তিনি প্রবিধান ১৫৬ (গ) এর অধীনে বর্ণিত একটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা তদূর্ধ্ব কর্মকর্তা গুলির আদেশ দিতে পারবেন। প্রবিধান ১৫৩ (গ) (৩) এ বলা হয়েছে, দাঙ্গা দমনে অথবা দাঙ্গাকারী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার কাজে নিয়োজিত সব পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য গুলিবর্ষণের পূর্বে একজন ম্যাজিস্ট্রেট, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা তার থেকে ঊর্ধ্বতন পদমর্যাদার কোনো পুলিশ অফিসারের আদেশের জন্য অপেক্ষা অবশ্যই করবেন।
এ বিষয়ে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, গুলি করার আগে অনেকগুলো বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হয়। গুলিবর্ষণের সিদ্ধান্ত একটি চরম ও শেষ ব্যবস্থা এবং অনেকবার সতর্কবাণী প্রদান করতে হবে। এখানে অনেকবার শব্দটি ব্যবহারের মাধ্যমে সতর্কবাণী প্রদান করাকে সত্যিকারের সতর্কবাণী প্রদান করা বোঝানো হয়েছে, যাতে সমাবেশকারীরা বুঝতে পারেন, তাদের শারীরিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরপরও যদি তারা সরে না যান তখন চূড়ান্ত ব্যবস্থা।
শেখ হাসিনার গুলির আদেশ কি আইনসম্মত ছিল?
বিবিসির প্রতিবেদনে প্রচারিত এক কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনালাপে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, “আমার নির্দেশনা দেওয়া আছে। ওপেন নির্দেশনা দিয়ে দিছি এখন। এখন লেথাল উইপন (প্রাণঘাতী অস্ত্র) ব্যবহার করবে। যেখানে পাবে, সোজা গুলি করবে। ” বিবিসি বলছে, তারা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ও নিজস্ব উপায়ে যাচাই করে কল রেকর্ডের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। নিজের চোখেই দেখে নিন। এই কল রেকর্ড উদ্ধার করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা। এটা ট্রেলার মাত্র। অনেক কিছু এখনো বাকি। অপেক্ষায় থাকুন। ’
আন্দোলনকারীদের এভাবে গুলির আদেশ দেওয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার ছিল কিনা জানতে চাইলে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, আইন অনুযায়ী পারেন না। আদেশ দেওয়াটাই বে-আইনি। প্রাইম মিনিস্টার ওয়াজ দ্য চিফ এক্সিকিউটিভ, শি ডাজ নট হ্যাভ অ্যানি অথরিটি টু অর্ডার (প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নির্বাহী প্রধান, তার এ ধরনের আদেশ দেওয়ার কোনো কর্তৃত্ব নেই)। এই প্রশ্নটা কখন আসবে? যখন আইন মানার প্রশ্ন আসছে। এগুলোয় আইন মেনে কোনো কিছু হয়নি। পুরোটাই বে-আইনি। তিনি যে আদেশ দিয়েছেন সেটা তো প্রশাসনিক আদেশ না। যদিও তিনি চিফ এক্সিকিউটিভ। তিনি তো পলিটিক্যাল অর্ডার দিচ্ছেন। কাকে মারবে কাকে ধরবে ওনার এসব বলার এখতিয়ারই নেই। বিশেষ পরিস্থিতিতে শেষ অপশন হিসেবে মাজিস্ট্রেট ওপেন ফায়ারের কথা বলতে পারেন। এটা কখন করবে সেটা পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গলে পরিষ্কার করে বলা আছে।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বাংলানিউজকে বলেন, আইন শৃঙ্খলার সঙ্গে তো প্রধানমন্ত্রীর পলিসির সিদ্ধান্ত হতে পারে। যেমন বিজিবি মোতায়েন করা হবে। কিন্তু বিজিবি মোতায়েনের পর প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কেউ বললে তো গুলি হবে না। প্রধানমন্ত্রী বললেই গুলি করবে এ রকম তো সুযোগ নেই। গুলি করার নির্দেশ তো ক্ষেত্র বিশেষে। যদি ম্যাজিস্ট্রেট না থাকে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জীবন রক্ষার জন্য (গুলি করা ছাড়া বাঁচার উপায় নেই) করতে পারে। এটা আত্মরক্ষা। আর ঘটনার সময় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকলে অবশ্যই তার নির্দেশে গুলিটা করতে হবে সর্বশেষ পরিস্থিতিতে আইন অনুসারে।
বিচারের সবশেষ অবস্থা
অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের পর শেখ হাসিনা জনরোষ থেকে বাঁচতে ভারতে পালিয়ে গেছেন। তার সঙ্গে পালিয়েছেন হাসিনার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অনেক মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তবে তৎকালীন পুলিশপ্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অনেক কর্মকর্তা ও এমপি-মন্ত্রী ধরাও পড়েছেন।
ইতোমধ্যে জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার ওপর চলা নির্মম হত্যাকাণ্ডের জন্য পলাতক শেখ হাসিনা, তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পলাতক আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তৎকালীন পুলিশপ্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে।
জুলাই-আগস্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো গুলিতে প্রায় দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। অনেকে হাত হারিয়েছেন, পা হারিয়েছেন। কেউ হারিয়েছেন চোখ। অনেকেই স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে গেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ, প্ররোচনা, উসকানি, সহায়তা, ষড়যন্ত্র ও সম্পৃক্ততার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে গত ১২ মে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনে রিপোর্ট দাখিল করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। গত ১ জুন শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
গত ১ জুলাই শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিচার শুরুর আবেদন করে প্রসিকিউশন। সে অনুযায়ী গত ১০ জুলাই বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। তবে দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ায় চার্জ থেকে বাদ দেওয়া হয় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম। তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে প্রসিকিউশন পক্ষে ঘটনার কথা স্বীকার করে সাক্ষ্য দেবেন। আর সত্য প্রকাশের শর্তে তাকে ক্ষমার কথাও বলা হয় আদালতের তরফ থেকে। এ মামলায় আগামী ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য ও ৪ আগস্ট প্রসিকিউশনের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।
এছাড়াও অন্য কয়েকটি মামলায় শেখ হাসিনা, তার সরকারের মন্ত্রী, আমলা, পুলিশ কর্মকর্তা ও দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচার ও তদন্ত চলছে ট্রাইব্যুনালে।
কেআই/এমজে