বিচারপ্রার্থী জনগণের সেবা প্রাপ্তি সহজ করতে রায় ও আদেশের অনুলিপি যথাসময়ে অধস্তন আদালতে পাঠাতে ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের প্রশাসন শাখা।
বিজ্ঞপ্তির ভাষ্যমতে, আইনজীবী ও বিভিন্ন মাধ্যমে গোচরীভূত হয়েছে যে, কোর্টের রায় বা আদেশ হওয়ার পর মামলার নথি সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে নথি পেলেও নথির পরবর্তী কার্যক্রম যথাসময়ে সম্পন্ন করা হচ্ছে না। প্রায়ই লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোর্টের রায় বা আদেশ শাখা থেকে যথাসময়ে টাইপ বা কম্পোজ করে তা বিতরণের জন্য আদান প্রদান শাখায় পাঠানো হচ্ছে না। ফলে বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে বিলম্ব ও বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে, যা অনভিপ্রেত ও অফিস শৃঙ্খলা পরিপন্থি।
এ অবস্থায় ১৮ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি ঘোষিত ১২ (বারো) দফা নির্দেশনার আলোকে দেশের সকল নাগরিকের বিচার সেবায় অভিগম্যতা নিশ্চিতকরণ এবং বিচারিক সেবা প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা ও নানাবিধ অনিয়ম দূরীকরণের উদ্দেশ্যে নিম্নরূপ নির্দেশনা দেয়া হলো।
ক) আদালতের জামিন আদেশ বা খালাস আদেশ কিংবা আসামির মুক্তি পাওয়া সংক্রান্ত আদেশ বা রায় কিংবা অন্তর্বর্তী জামিন সংক্রান্ত প্রচারিত আদেশের পর নথি কোর্ট হতে সংশ্লিষ্ট শাখা কর্তৃক প্রাপ্তির পর ওই দিনেই বা যুক্তি সংগত কারণে ওই দিন সম্ভব না হলে পরবর্তী কার্যদিবসের মধ্যেই টাইপ/কম্পোজ করে আই টি শাখাসহ হার্ড কপি আদান প্রদান শাখায় পাঠাতে হবে।
খ) আদালতের রিট বা অন্য কোন মামলায় বিবাদীদের অবগত করা সংক্রান্ত কোনো সময় উল্লেখ না থাকলে আদেশ বা রায়ের নথি সংশ্লিষ্ট শাখায় যাওয়ার পর আদেশ বা রায় কম্পোজ/টাইপসহ সকল কার্যক্রম নথির ক্রমানুসারে পরবর্তী তিন কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করে আদান প্রদান শাখায় পাঠাতে হবে।
গ) আদালতের সিভিল বা অন্য কোন মামলায় নির্দিষ্ট কোনো সময়ের মধ্যে অবগত করা সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা না থাকলে নথি সংশ্লিষ্ট শাখায় যাওয়ার পর আদেশ বা রায় কম্পোজ/টাইপসহ সকল কার্যক্রম নথির ক্রমানুসারে পরবর্তী সাত কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করে আদেশ বা রায় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এলসিআরসহ আদান প্রদান শাখায় পাঠাতে হবে।
ঘ) যে কোন মামলায় আদালতের আদেশ বা রায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কিংবা সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা প্রদান করা হলে ওই নির্দেশনা অনতিবিলম্বে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শাখা কর্তৃক টাইপ/কম্পোজ সম্পন্ন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ঙ) বিচারপ্রার্থী জনগণকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারিক সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে এসব নির্দেশনা সহ গত ২৩ সেপ্টেম্বর দেওয়া ১২ দফা নির্দেশনা প্রতিপালন করার জন্য সংশ্লিষ্ট শাখার সুপারিনটেনডেন্টদেরকে নির্দেশ দেওয়া হলো। এসব নির্দেশনা প্রতিপালনে কোন ব্যত্যয় প্রমাণিত হলে তা অসদাচরণ গণ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীসহ শাখার দায়িত্ব প্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চ) উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট শাখার সহকারী ও ডেপুটি রেজিস্ট্রারদেরকে শাখার প্রতিদিনের কার্যক্রম তদারকির জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
ইএস/এসআইএস