ঢাকা: অবিলম্বে ঢাকার আক্রান্ত সব এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (২৩ জুন) বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. সালেকুজ্জামান সাগর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহাদ্দেস-উল-ইসলাম ও মাহফুজ বিন ইউসুফ।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত মাসে ঢাকার আক্রান্ত এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে আইনজীবী মো. সালেকুজ্জামান সাগর রিট করেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত মশার উপদ্রব এবং চিকনগুনিয়া, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়া নিয়ে প্রতিবেদন রিটে যুক্ত করা হয়।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৯ জন।
সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছর করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫২ জন। এ যাবত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৯৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ যাবত এক কোটি ৫৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৯০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। চলতি বছর করোনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে এ যাবত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫১৮ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার চার দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ যাবত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
মৃত তিনজনের মধ্যে একজন পুরুষ ও দুজন নারী। তাদের বয়স যথাক্রমে ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। মৃতদের একজন ঢাকার ও দুজন চট্টগ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া এদের মধ্যে একজন সরকারি হাসপাতালে ও দুজন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
ইএস/আরআইএস