ঢাকা, বুধবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ জুন ২০২৫, ২১ জিলহজ ১৪৪৬

আইন ও আদালত

১১ বছর পর সাক্ষ্য দিতে এসে কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:২০, জুন ১৭, ২০২৫
১১ বছর পর সাক্ষ্য দিতে এসে কারাগারে প্রতীকী ছবি

১১ বছর আগের এক মাদক মামলায় সাক্ষ্য দিতে আসা এক ব্যক্তিকে নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

ওই সাক্ষীর নাম রতন।  

সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজুর রহমান পাটওয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

মাহফুজুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, ২৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের এক মামলায় সাক্ষ্য দিতে আসেন রতন। ডকে উঠার আগে তিনি ঘটনার বিষয়ে আমার কাছে বর্ণনা দেন। তবে ডকে উঠে বলেন, ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। বিচারক তাকে প্রশ্ন করেন। আমিও তাকে ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন করি। তখন বিচারক জানতে চান, ঘটনার সময় কোথায় ছিলেন? জবাবে সাক্ষী বলেন, পুলিশের গাড়িচালক ছিলেন। কোন কোন জায়গায় ড্রাইভ করে জানতে চাইলে বলেন, কিছু জানি না।  

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের কাছে অনুমান হয়, আসামির কাছ থেকে বায়াস (প্রভাবিত) হয়ে সে সত্য গোপন করে সাক্ষ্য দিয়েছে। পরে বিচারক বলেন, সেফ কাস্টডিতে থাকুক, ভালোভাবে জেনে আসুক। তাকে সাত দিনের জন্য সেফ কাস্টডিতে পাঠানো হলো।

রতন নামে ওই সাক্ষীকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার ২৫ জুন তার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৮ জুন রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে মিরপুর মডেল থানাধীন সনি সিনেমা হলের সামনে থেকে রতন, খোকন শেখ ও উপস্থিত লোকজনের সামনে ইমরান হোসেনের দেহ তল্লাশি করে তার হাতে থাকা প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে ওইদিনই মামলা করেন মিরপুর মডেল থানার এএসআই রাজ কুমার।  

মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ১৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মুনিরুজ্জামান। এরপর ওই বছর ১৫ সেপ্টেম্বর ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

এ পর্যন্ত মামলাটিতে ১০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছে। ৪র্থ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে আসেন রতন। তিনি জব্দ তালিকার সাক্ষী। তার বাড়ি বরগুনার তালতলী থানার ছোট ভাই জোড়া গ্রামে।

কেআই/এমইউএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।