ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ সফর ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

শুল্ক স্থগিত থাকছে আরও ৩ মাস, আলোচনা চালিয়ে যাবে চীন-যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৩০, আগস্ট ১২, ২০২৫
শুল্ক স্থগিত থাকছে আরও ৩ মাস, আলোচনা চালিয়ে যাবে চীন-যুক্তরাষ্ট্র

বাড়তি শুল্কহার কার্যকর হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন তাদের বাণিজ্য বিরতি আগামী ১০ই নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

এক যৌথ বিবৃতিতে বিশ্বের এই দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে একে অপরের পণ্যের ওপর আরোপ করা শুল্ক আরও ৯০ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে।

উভয় পক্ষই গত মাসে শেষ হওয়া আলোচনাকে গঠনমূলক বলে উল্লেখ করেছে। তখন চীনের প্রধান মধ্যস্থতাকারী বলেছিলেন দুই দেশই সাময়িক এই বিরতি বজায় রাখতে কাজ করবে।

আর যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছেন বলে জানিয়েছেন। সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই শুল্ক বিরতি বাড়ানোর এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।

এর মানে হলো ওয়াশিংটন চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ আরও বিলম্বিত করবে এবং বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশের শুল্ক বিরতি অব্যাহত রাখবে।

এই চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র চীনা আমদানির ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক রাখবে এবং চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক রাখবে।

হোয়াইট হাউস বলেছে, এই বিরতি বাড়লে বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা নিরসন এবং অন্যায্য বাণিজ্য আচরণ মোকাবিলার জন্য আরও সময় মিলবে।

তারা জানিয়েছে, ২০২৪ সালে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার, যা তাদের যেকোনো বাণিজ্য অংশীদারের মধ্যে সবচেয়ে বড়।

ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উইন-উইন সহযোগিতাই সঠিক পথ; দমন ও নিয়ন্ত্রণ করা কোনো সমাধানে নিয়ে যাবে না।  

চীন বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের অযৌক্তিক বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

একইসাথে উভয় পক্ষের কোম্পানিগুলো লাভবান হওয়ার জন্য একসাথে কাজ করা এবং বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে চীন।

এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই আলোচনার লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানিকারকদের চীনে প্রবেশ বাড়ানো এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলোও এর আওতায় রাখা।

দাম ও অর্থনীতিতে শুল্কের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে উচ্চ শুল্ক ফিরিয়ে আনা হলে বাণিজ্যে আরও অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তার আরও ঝুঁকি থাকতো।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন এপ্রিল মাসে সারা বিশ্বের অনেক দেশের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন তখন যুক্তরাষ্ট্র – চীন বাণিজ্য উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। কেননা চীনের ওপর সবচেয়ে বেশি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছিল।

প্রতিশোধ নিতে বেইজিং নিজেও শুল্ক আরোপ করেছিল, একে অপরের ওপর পাল্টা আক্রমণের কারণে শুল্ক তিন অঙ্কে পৌঁছায়। এতে দুই দেশের বাণিজ্য প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।

দুই পক্ষই মে মাসে কিছু পদক্ষেপ স্থগিত রাখতে রাজি হয়েছিল।

আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।