শনিবার সন্ধ্যায় তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে দশ হাজারেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়ে সরকারের পরিকল্পিত গাজা সিটি দখল অভিযানের আগে জিম্মি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছেন।
জিম্মিদের পরিবারগুলো সাধারণ ধর্মঘটের আহ্বান জানায় এবং সতর্ক করে যে, এই অভিযান তাদের প্রিয়জনদের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে দেবে।
গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভা ঘনবসতিপূর্ণ ফিলিস্তিনি শহরটি দখলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই এই বিক্ষোভ হয়। সামরিক বাহিনী আগেই সতর্ক করেছিল, এতে জিম্মিদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়বে, সৈন্যদের অপ্রয়োজনে বিপদে ফেলবে এবং গাজার মানবিক সঙ্কট আরও বাড়াবে।
শনিবারের সমাবেশের আগে হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম এক বিবৃতিতে বলে, “আমাদের প্রিয়জনদের বলি দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর লাল সতর্কতার পতাকা উড়ছে। ”
তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়, “একটি পূর্ণাঙ্গ জিম্মি বিনিময় চুক্তিতে করো, যুদ্ধ বন্ধ করো, আমাদের প্রিয়জনদের ফিরিয়ে দাও—সময় শেষ হয়ে আসছে। ”
জিম্মি পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম তেল আবিব, জেরুজালেম, দক্ষিণের শা’আর হানেগেভ জংশন ও কিরিয়াত গাতে সমাবেশ করেছে। এ ছাড়াও ডজনখানেক ছোট শহরে ছোট আকারের বিক্ষোভ হয়েছে।
তেল আবিবের হোস্টেজেস স্কয়ারে অন্তত ১০ হাজার মানুষের সামনে বক্তব্য দেন সাবেক জিম্মি শ্যারন আলোনি-কুনিও। ইহুদিদের ভালোবাসার উৎসব তু বি’আভ-এর দিনে তিনি স্বামী ডেভিড কুনিওর কথা বলেন, যিনি এখনও বন্দি।
ফেব্রুয়ারিতে শেষ যুদ্ধবিরতিতে মুক্তি পাওয়া এলিয়া কোহেনও সেখানে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “আজ তু বি’আভ, আর আমি ঈশ্বরের কৃপায় আমার সঙ্গীর পাশে দাঁড়িয়ে আছি, যদিও ৫০৫ দিন ধরে আমি ভেবেছিলাম, অক্টোবর ৭-এর হামাসের হামলায় আমরা যে আশ্রয়ে ছিলাম সেখানেই সে মারা গেছে। ”
তিনি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান ও অবশিষ্ট ৫০ জন জিম্মির মুক্তির আহ্বান জানান, “আমি জানি আংশিক চুক্তিতে ফিরে আসার অভিজ্ঞতা কেমন। প্রতিদিন অপরাধবোধ নিয়ে বাঁচি। কাউকে আমি এই অনুভূতির মধ্যে ফেলতে চাই না—যে নিজের ভাইকে পেছনে ফেলে এসেছে। ”
তেল আবিবে আইডিএফ সদর দপ্তরের বেগিন স্ট্রিটের সামনে অন্য এক বিক্ষোভে বক্তারা সৈন্যদের বিস্তৃত অভিযানে অংশগ্রহণ না করার আহ্বান জানান এবং বিরোধী নেতাদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও শিক্ষাজগতের নেতাদের দেশ অচল করার আহ্বান জানান।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
এমজেএফ