ঢাকা, রবিবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২, ২৯ জুন ২০২৫, ০৩ মহররম ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:১৮, জুন ২৮, ২০২৫
আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েল আগ্রাসন শুরু করে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে।

গাজা উপত্যকায় দখলদার কর্তৃপক্ষ এমনভাবে হামলা চালিয়েছে, খান ইউনিস, রাফাহসহ বিভিন্ন শহর এখন কার্যত ভুতুড়ে। এর মধ্যে সরকার পতন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ‘যুদ্ধবাজ’ জো বাইডেন সরকারকে হারিয়ে মার্কিন মসনদের ক্ষমতা নেয় রিপাবলিকান পার্টি। প্রেসিডেন্ট হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির একটা আশা তৈরি হয়।  

অতঃপর সেই আশার খানিকটা সঞ্চার হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘আগামী সপ্তাহের’ মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে।  

শুক্রবার (২৭ জুন) হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ট্রাম্প এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে যারা কাজ করছেন, তাদের কয়েকজনের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তবে আলোচনায় কী হয়েছে বা কী বিষয়ে কথা হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

এদিকে দখলদার ইসরায়েলের কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডেরমার আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইরান ও গাজা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন।

জানা গেছে, ইরানের সঙ্গে শেষ হওয়ার পর গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধে তেল আবিবকে চাপ দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত থামিয়ে তিনি আবারও আব্রাহাম চুক্তির পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে অন্যান্য আরব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন সহজ হবে।

এদিকে গাজা উপত্যকায় খাদ্য সরবরাহের জন্য বিতর্কিত ‘গাজা মানবিক ফাউন্ডেশনে’ ৩০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গাজায় ভয়াবহ অবস্থা চলছে এবং আমরা সেখানে অনেক অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। কারণ আমাদের দিতে হবে। আমরা এই সংঘাতের সঙ্গে সরাসরি জড়িত না হলেও, একভাবে জড়িত। কারণ সেখানে বহু মানুষ মারা যাচ্ছে, যাদের আমাদের বাঁচাতে হবে।

গাজা মানবিক ফাউন্ডেশন সঠিকভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, কিছু ‘খারাপ মানুষ’ সেখানকার ত্রাণ লুটপাট করছে।

এই ফাউন্ডেশন শুরু থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে। গাজায় খাবার আনতে গিয়ে এই ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ট্রাকগুলোর কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর একাধিকবার গুলি চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। এখন পর্যন্ত সেসব হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। আহত হয়েছেন আরও চার হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।