সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গুলশানে অপারেটরটির প্রধান কার্যালয় ‘টাইগার্স ডেন’-এ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলালিংকের সিইও এরিক অস একথা জানান।
তিনি জানান, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিটিআরসি বিভাগীয় শহরগুলোতে ফোর-জি সম্প্রসারণের জন্য ৩৬ মাসের সময়সীমা প্রদান করলেও আগামী তিন মাসের মধ্যেই এই লক্ষ্য অর্জন করবে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলালিংক সিইও বলেন, এ মাসে আমরা বেশ কিছু মাইল ফলক অর্জন করেছি, যা প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্ক সক্ষমতা অর্জনে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল সংযোগ ও উন্নততর কাভারেজ প্রদানে ভূমিকা রাখবে। বাংলালিংক সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্পেকট্রাম নিলামে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের ৫ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম ও ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের ৫.৬ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম কিনেছে।
‘সংযোজিত এই স্পেকট্রামের ফলে বাংলালিংকের মোট স্পেকট্রামের পরিমাণ ৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। দেশের প্রধান তিনটি অপারেটরের মধ্যে গ্রাহক প্রতি স্পেকট্রাম প্রদানের দিক থেকে শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাংলালিংক। ’
এরিক অস বলেন, ফোর-জি নেটওয়ার্কের দ্রুত গতির ইন্টারনেট গ্রাহকদের জিরো-বাফার এইচডি ভিডিও স্ট্রিমিং, এইচডি কোয়ালিটির ভিডিও কলিং, হাই ফিডেলিটি মিউজিক স্ট্রিমিং, অনলাইন গেমিং, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও অন্যান্য ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের সুযোগ করে দেবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা, ভিডিওর মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থসেবার মান বৃদ্ধি করে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে ফোর-জি।
‘নেটওয়ার্কের ক্ষমতা দ্বিগুণ বাড়ানোর ফলে এখন আমরা গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল সংযোগ প্রদানে সক্ষম, যা তাদের কাছে বিভিন্ন ডিজিটাল সার্ভিসের ব্যবহার আরও সহজ করে তুলবে। ’
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির চিফ মার্কেটিং অফিসার মাইক মাইকেল বলেন, থ্রিজির দামে গ্রাহক ফোর-জি সেবা পাচ্ছে। ফোর-জি সেবার জন্য বাড়তি কোনো অর্থ খরচ করতে হচ্ছে না। এছাড়া সিম রিপ্লেসমেন্টের সময় গ্রাহককে আকর্ষণীয় বিনামূল্যে ডাটা দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গুলশান, ধানমন্ডি, মতিঝিলসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে ফোর-জি সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮/আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এমএ


