ঢাকা, শুক্রবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩২, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

তথ্যপ্রযুক্তি

নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং নীতিমালা টেলিকমখাতে যুগান্তকারী অগ্রগতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৫৬, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫
নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং নীতিমালা টেলিকমখাতে যুগান্তকারী অগ্রগতি অনুমোদিত নীতিমালার বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সরকারি ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন পাওয়া টেলিকমিউনিকেশন্স নেটওয়ার্ক এবং লাইসেন্সিং পলিসি ২০২৫, টেলিকমখাতে যুগান্তকারী ‌অগ্রগতি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সরকারি ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুমোদিত নীতিমালার বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

তিনি জানান, ইতিপূর্বের লাইসেন্স রেজিমে ২৬ ধরনের মোট ৩ হাজার ২৯৯টি লাইসেন্স থাকার কারণে টেলিকম সেবার মানোন্নয়ন ও গুণগত মান অনুযায়ী দামের সামঞ্জস্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন নীতিমালায় লাইসেন্স কাঠামোকে মাত্র ৩ প্রকারে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। এর ফলে নাগরিকের চাহিদা অনুযায়ী উন্নত কোয়ালিটি অব সার্ভিস নিশ্চিত করতে অধিকতর ফোকাস প্রদান করা সম্ভব হবে।

আগের বহুমাত্রিক লাইসেন্স পদ্ধতির কারণে টেলিকম মার্কেট থেকে মধ্যস্বত্বভোগীরা উল্লেখযোগ্য ভ্যালু অ্যাড না করেই রাজস্বের অংশে ভাগ বসাত, যা এ পলিসি দ্বারা পরিবর্তিত হয়েছে। এর ফলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং তা জলবায়ু অভিঘাতপ্রবণ এলাকায় কাভারেজ সম্প্রসারণ, সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা প্রদানসহ নাগরিকবান্ধব কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা যাবে।

তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক গঠিত কমিটি যার চেয়ারম্যান ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা সেই কমিটির সুপারিশে কেবিনেট ডিভিশনে এ নীতিমালার সংশোধিত প্রস্তাব উপস্থাপনের পূর্বে প্রায় ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে।

নতুন নীতিমালায় অ্যাকটিভ ও প্যাসিভ শেয়ারিং এর মাধ্যমে টেলিকম কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতামূলকভাবে উন্নততর সেবা প্রদান করতে পারবে। এর ফলে টেলিকম সেবার গুণগত মানোন্নয়ন নিশ্চিত হবে এবং বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হবে।

নতুন নীতিমালায় MVNO, VoWiFi, WiFi-6, WiFi-7, IoT, AI ইত্যাদি আধুনিকতম প্রযুক্তিগত সেবার সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।  

একই সঙ্গে নিত্য নতুন ডিজিটাল সার্ভিস প্রদানের প্রতিবন্ধকতা দূর করে নতুনদের বিশেষত এসএমইদের জন্য উদ্ভাবনের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীও কানেক্টিভিটির আওতায় আসবে এবং কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতে টেলিকম সেবা কার্যকর অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।