ঢাকা, বুধবার, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ জুলাই ২০২৫, ২০ মহররম ১৪৪৭

তথ্যপ্রযুক্তি

সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৩৮, জুলাই ১৫, ২০২৫
সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন

টেকসই ব্যবসায়িক কার্যক্রমের মাধ্যমে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, পরিবেশ সুরক্ষা এবং কমিউনিটির ক্ষমতায়নে অসামান্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ‘মোস্ট সাস্টেইনেবল টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি অব দি ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ পেল দেশের শীর্ষ টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী কোম্পানি গ্রামীণফোন।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোস্ট সাস্টেইনেবল টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি অব দি ইয়ার, এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন ইন ক্লাইমেট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট এবং এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন ইন ইক্যুইটি, ডাইভারসিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন- এই তিনটি ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে গ্রামীণফোন।

এ ছাড়া এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন ইন ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইকোনমিক গ্রোথ এবং এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন ইন ওম্যান এমপাওয়ারমেন্ট- এই দুইটি ক্যাটাগরিতে অনারেবল মেনশন পেয়েছে কোম্পানিটি।  

রাজধানীর একটি হোটেলে সম্প্রতি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে কোম্পানিটির চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স তানভীর মোহাম্মদ পুরস্কারগুলো গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের হেড অব ইএসজি (এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভার্নেন্স) ফারহানা ইসলাম, হেড অব কাস্টমার সার্ভিস আবদুল্লা আল মাহমুদ এবং হেড অব কর্পোরেট পোর্টফোলিও শারমিন রহমানসহ কোম্পানিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় উন্নয়নে অগ্রাধিকার পাওয়া বিষয়গুলো এবং বৈশ্বিক এসজিডি এজেন্ডার সঙ্গে মিল রেখে গ্রামীণফোনের টেকসই সম্পর্কিত কৌশলগুলো ঠিক করা হয়েছে। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপের ওপর জোর দিয়ে কমিউনিটির মধ্যে বাস্তবসম্মত ও দৃশ্যমান প্রভাব রাখতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় দায়িত্বশীল ও টেকসই ধারা গ্রহণ করেছে কোম্পানিটি।  
 
গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদ বলেন, ডিজিটাল সংযোগের মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়নই আমাদের লক্ষ্য, যে ক্ষমতায়ন হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, দায়িত্বশীল ও টেকসই। স্থানীয় বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে, অন্তর্ভুক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে এবং প্রযুক্তির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে সামনের দিনগুলোতে এসডিজি সম্পর্কিত লক্ষ্যগুলো নির্ধারণ করতে হবে।

ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিতে প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সাথে ডিজিটাল সাক্ষরতা এবং অনলাইন সুরক্ষায় আটটি প্রান্তিক সম্প্রদায়ের ৩৩ লাখের বেশি মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে গ্রামীণফোন, যার মধ্যে ৬৮ শতাংশ নারী। ইউনিসেফের সহযোগিতায় ৪৭ লাখ শিশু ও ২৫ হাজার  শিক্ষককে ডিজিটাল দক্ষতা বাড়ানোর এবং অনলাইন সুরক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

ইউএনডিপির সঙ্গে ১ লাখ তরুণের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করেছে গ্রামীণফোন। অন্যদিকে গ্রামীণ প্রযুক্তিগত উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে জিপি একাডেমি ও অ্যাক্সিলারেটর।

এনার্জি অ্যাট্রিবিউট সার্টিফিকেটস (ইএসিএস) অর্জন এবং ৪৭ শতাংশ বিদ্যৃৎ গ্রিডে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার, ১ হাজার ১৪টি সাইটে সোলার পাওয়ারের ব্যবহার, ১ হাজার ৪৭৩ টন ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা এবং দেশজুড়ে ডিজিটাল ও জলবায়ু বৈষম্য রোধে স্থানীয় ও প্রযুক্তি-ভিত্তিক সল্যুশন কাজে লাগানোর মাধ্যমে টেকসই পদক্ষেপকে আরো এগিয়ে নিচ্ছে গ্রামীণফোন।

এমআইএইচ/এমইউএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তথ্যপ্রযুক্তি এর সর্বশেষ