দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি গ্রাহককে ৭০০ টাকার ফিক্সড ইন্টারনেট প্যাকেজ ৫০০ টাকায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ১ জুলাই (মঙ্গলবার) থেকেই কার্যকর হবে।
বর্তমানে আইএসপি শিল্পে কোনও আইএসপি- থানা ভিত্তিক, জেলা ভিত্তিক, বিভাগীয় বা নেশন ওয়াইড আইএসপি ৫ এমবিপিএস-এর প্যাকেজ দেয় না। আইএসপিগুলো কমবেশি গড়ে ১০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ দিয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী আইএসপিএবি ৫০০ টাকা থেকে প্যাকেজ শুরু করতে যাচ্ছে।
আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম এ প্রসঙ্গে বলেছেন, স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেস্কে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় বিশ্বের ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৮তম। এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও উপরে দেখতে চায় আইএসপিএবি। সেই আলোকে দেশের আইএসপিগুলো কোয়ালিটি অব সার্ভিস (মানসম্মত সেবা) এবং বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান যেন আরও উপরের দিকে উঠে আসে সেজন্য ১০ এমবিপিএস দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছে এবং সরকার যদি সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওএফ) ও রেভিনিউ শেয়ার (রাজস্ব ভাগাভাগি) প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে আইএসপিগুলো পরবর্তী সময়ে ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা অনুযায়ী গ্রাহককে ২০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ নিশ্চিত করতে পারবে বলে আশা পোষণ করে। সেই অনুযায়ী কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আমিনুল হাকিম আরও বলেন, বেশির ভাগ গ্রাহক মাসিক বিলের সাথে ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। এই ভ্যাটটা আমরা আদায় করতে পারি না। আইএসপিএবির সদস্যরা একমত হয়েছে যে, সরকারের সাথে একসাথে কাজ করার লক্ষ্যে এবং দেশের উন্নতির জন্য রাজস্ব নিশ্চিত করতে গ্রাহকের কাছ থেকে ৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেবে।
আইএসপিএবি গণমাধ্যমের মাধ্যমে গ্রাহকদের লাইসেন্সধারী আইএসপির কাছ থেকে ইন্টারনেট সংযোগ গ্রহণ এবং প্রতি সংযোগের মাসিক ফির সাথে বর্তমান সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রদান করতে এবং গ্রহকদের মাসিক বিল পরিশোধের সময় রিসিট দিতে আইএসপিদের অনুরোধ জানিয়েছে।
এমআইএইচ/এএটি