ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১ জিলকদ ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

তৃতীয়পক্ষের প্ল্যাটফর্মে উচ্চমূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট বিক্রির অভিযোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:২০, এপ্রিল ২৯, ২০২৫
তৃতীয়পক্ষের প্ল্যাটফর্মে উচ্চমূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট বিক্রির অভিযোগ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

ঢাকা: তৃতীয় পক্ষের প্ল্যাটফর্মে উচ্চমূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে অতিরিক্ত চার্জ করা হয়েছে বলে অভিযোগের কথা জানিয়েছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।  

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি ‘রিচার্জিং এ নতুন ধারার জালিয়াতি: তৃতীয়পক্ষের অ্যাপ থেকে মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিংয়ের তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি লেখেন, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) অনুমোদিত হারের তুলনায় বিকাশের মতো তৃতীয়পক্ষের প্ল্যাটফর্মে উচ্চমূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে অতিরিক্ত চার্জ করা হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে।

‘মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং: এ কল ফর রেগুলেটরি অডিট অ্যান্ড কনজিউমার প্রোটেকশন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে মোবাইল অপারেটর অ্যাপে তালিকাভুক্ত দাম এবং বাহ্যিক চ্যানেলের মাধ্যমে চার্জ করা মূল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অসংগতি পাওয়া গেছে।  

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্যাকেজগুলো অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে ২০ থেকে ৮০ শতাংশ বেশি হারে বিক্রি হয়েছিল, গ্রাহকদের সঙ্গে কোনো যুক্তি বা স্পষ্ট যোগাযোগ ছাড়াই।

মোবাইল অপারেটরের নিজস্ব অ্যাপে ৩০ দিনের ৪৫ এমবি ডেটা প্যাকের দাম ছিল ৪৯৭ টাকা, কিন্তু একই প্যাকটি বিকাশের মাধ্যমে ৫৯৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি।  

১৯৮ টাকায় তালিকাভুক্ত একটি সাতদিনের ২৫ জিবি প্যাক বিকাশের মাধ্যমে একই দামে ২০ জিবি প্যাক হিসাবে বিক্রি হয়েছিল, এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ কার্যকর ওভারচার্জ।

২২৭ টাকার একটি সাত দিনের ৪০ জিবি প্যাক বিকাশে একই মূল্যের জন্য ৩৫ জিবি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ভিত্তি মূল্যের তুলনায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি।

সাত দিনের ১০ জিবি এবং তিন দিনের পাঁচ জিবি বিকল্পগুলোসহ অন্যান্য প্যাকেজগুলোও ৫৫ থেকে ৫৮ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জসহ মূল্যস্ফীতি।

তিনি আরও লেখেন, বিটিআরসিতে সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের অধীনে একটি সুষ্পষ্ট প্রাইসিং রেগুলেশন রয়েছে। তাকে তোয়াক্কা না করে ২০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত প্রাক্কলন অতিরিক্ত মূল্য আদায় গ্রাহক স্বার্থ এবং রাষ্ট্রের সার্বিক স্বার্থবিরোধী বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত। এই অতিরিক্ত চার্জিং অনুশীলন কেবল জনসাধারণের আস্থাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না বরং বাংলাদেশে মোবাইল ডেটা খরচ সম্পর্কে নাগরিকদের ধারণাকেও বিকৃত করে।

বিষয়টি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের রেগুলেটরি শাস্তির মুখোমুখি করা দরকার বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ।  

এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তথ্যপ্রযুক্তি এর সর্বশেষ