ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২ মহররম ১৪৪৭

স্বাস্থ্য

‘লকডাউন’ কঠিনভাবে কার্যকরের কোনো বিকল্প নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৫১, জুলাই ১০, ২০২১
‘লকডাউন’ কঠিনভাবে কার্যকরের কোনো বিকল্প নেই

ঢাকা: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ‘লকডাউন’ কঠিনভাবে কার্যকর করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এস এম সামসুজ্জামান।

শনিবার (১০ জুলাই) বাংলানিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. এস এম শামসুজ্জামান বলেন, করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ এটা আমরা সবাই বুঝতেই পারছি। করোনা প্রতিরোধে যে ‘লকডাউন’ দেওয়া হয়েছে সেটা অত্যন্ত কঠিনভাবে কার্যকর করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। মানুষকে আরও বেশি সচেতন করতে হবে। তারা যেনো মাস্ক পরে এবং নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখে। গ্রামের অনেক লোকজন করোনা টেস্ট করাতে চাচ্ছে না। তাদের সচেতন করতে হবে। তারা যেন টেস্ট করে এবং শনাক্ত হলে কোয়ারেন্টিন করে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, যেসব গ্রামে বা অঞ্চলে করোনার টেস্ট করার ব্যবস্থা নেই, সেখানে সর্দি-কাশি জ্বর এবং করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই বুঝতে হবে এটা করোনা এবং নিজেদের আইসোলেটেড বা কোয়ারেন্টিনের যে নিয়ম-কানুন সেগুলো মেনে চলতে হবে। আর যদি উপসর্গ বেশি খারাপের দিকে যায় তাহলে হাসপাতাল বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করতে হবে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে গেলে হাসপাতালে ভর্তি করে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ‘লকডাউন’ কঠোরভাবে কার্যকর করা। প্রয়োজনে কারফিউর মতো দিতে হবে। যেহেতু করোনা গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া আর কোনো পথ নেই।

ডা. শামসুজ্জামান বলেন, শহরে যেভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দিয়ে ‘লকডাউন’ বা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যায়, গ্রামে-গঞ্জে সেভাবে সম্ভব নয়। গ্রামে-গঞ্জে যেসব জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের কর্মী রয়েছে তাদের এ সময়ে কাজে লাগাতে হবে। শিক্ষক, সাংবাদিক বিশেষ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবক সবাই মিলে সমন্বিতভাবে একটি করোনা প্রতিরোধ টিম গঠন করতে হবে। এ টিম গ্রামের করোনা প্রতিরোধে কাজে লাগানো যেতে পারে। মানুষকে সচেতন করতে তারা কাজ করবে, পাশাপাশি তারা বিভিন্ন ধরনের সেবাও দিতে পারবে। গ্রামের মানুষকে করোনা টেস্ট করাতে উদ্বুদ্ধ করবে তারা। একই সঙ্গে গ্রামে বা শহরে যখনই করোনার টিকা পাওয়া যাবে সঙ্গে সঙ্গে টিকা নিয়ে নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২১
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।