ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২ মহররম ১৪৪৭

স্বাস্থ্য

করোনা হয়ে উঠতে পারে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের কারণ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:০২, জুন ৯, ২০২০
করোনা হয়ে উঠতে পারে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের কারণ 

কলকাতা: ক্রমেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেই সঙ্গে বদলাচ্ছে উপসর্গ। করোনা আক্রান্ত হলে জ্বর, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, স্বাদ-গন্ধ হারানোর ক্ষমতা, চোখে কনজাংটিভাইটিস ইত্যাদি বিভিন্ন লক্ষণের কথা ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে।

তবে সংক্রমণের শিকার একাংশের মৃত্যুতে ভারতের চিকিৎসকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। কারণ সেই তালিকায় সংযোজিত হয়েছে ব্রেন স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক।

দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ ভারতীয় শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গের আগেই স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের কবলে পড়ছে। তবে এক্ষেত্রে মৃত্যুই যে নিশ্চিত, বিশেজ্ঞরা তা বলছেন না।

এই নিয়ে সম্প্রতি ‘রেডিওলজি’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

একই বিষয়ে গবেষণা করছে ইতালির ব্রেসিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্টার্ন পিডমন্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও সাসারি বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে চিকিৎসাধীন ৭২৫ জন সব বয়সী করোনা রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা। যাদের মধ্যে ১৫ শতাংশ রোগীর স্নায়ুর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে।

সেইসব রোগীর সিটি স্ক্যান করে দেখা গেছে, এদের মধ্যে স্ট্রোক বা হৃদরোগের আশঙ্কা প্রবল। দেখা গেছে, করোনার কারণে স্নায়ুর সমস্যায় ভোগা রোগীদের প্রায় ৩১ শতাংশ ‘ইস্কিমিক স্ট্রোক’ এ আক্রান্ত হয়েছেন। কিছু রোগীর খিঁচুনি, মাথা ঘোরা ইত্যাদি লক্ষণও দেখা গেছে।  

তবে এইসব করোনা রোগীর বেশিরভাগেরই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, করোনারি আর্টারি ডিজিজ, সেরিব্রোভাস্কুলার ডিজিজের মতো এক বা একাধিক ক্রনিক অসুখ ছিল। যদিও ক্রনিক অসুখ ছাড়া করোনা ভাইরাস সরাসরি মস্তিষ্কের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত হানে কি না, তা এই গবেষণা থেকে পরিষ্কার হয়নি।

তবে, করোনায় গুরুতর অসুস্থদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেই স্নায়ুর বিভিন্ন উপসর্গের উৎপত্তি হচ্ছে বলে জানা গেছে। জার্নালে আরও বলা হয়েছে, অনেক করোনা রোগীর মধ্যে বেশ কিছু রোগীর শরীরে ‘সাইটোকাইন ঝড়’ দেখা দিচ্ছে। তাতে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। যার ফল স্বরূপ হৃদরোগের আশঙ্কাও বাড়ে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোভিড-১৯- এর লক্ষণ হিসেবে স্নায়ুর সমস্যাগুলিকে খুব বেশি আমল দেওয়া হয় না। যদিও সমস্যাগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্রনিক অসুস্থ রোগীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। তাই প্রাথমিক স্তরে লক্ষণগুলিকে চিহ্নিত করতে পারলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। ফলে শুধু বয়স্ক নয় যে কোনো বয়সী ক্রনিক রোগীদের এই ধরনের সম্ভাবনা বেশি দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২০
ভিএস/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।