‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’ এই স্লোগানের আলোয় পথচলা বসুন্ধরা গ্রুপ করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগকালেও দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে এসেছে। দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী বাড়তে থাকায় সম্প্রতি সরকারকে আইসিসিবিতে পাঁচ হাজার শয্যার একটি অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) নির্মাণাধীন হাসপাতাল চত্বরে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল হামিদ কাজের অগ্রগতি ও নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আব্দুল হামিদ বলেন, বসুন্ধরার কনভেনশন সেন্টারে ২০০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে কৃতজ্ঞ যে তারা এখানে দিনরাত কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সার্বক্ষণিক কাজের খোঁজ-খবর নেন। দু-একদিন পরপর তিনি এটি পরির্দশন করেন। ট্রেড সেন্টারে হাসপাতালের কাজ ৬০ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়েছে। ২২ এপ্রিলের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে রাতদিন সমানতালে কাজ চলছে।


৭১ বেডের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) বিষয়ে এমএম জসীম উদ্দিন বলেন, কনভেশন হল-৪ এ আইসিইউ বেড বসানোর কার্যক্রম বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। আইসিইউ ইউনিটের জন্য যেসব কারিগরি বিষয় ছিল, বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে বুধবার সমাধান করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা সরঞ্জামগুলো কার্গো প্লেনে দেশের পথে।
তিনি আরও বলেন, কনভেশন সিটি একটি শতভাগ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে কোম্পানির অনেক বড় আয় হতো। সেটা বন্ধ করে চলমান করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য সরকারকে দেওয়া হয়েছে। আসলেই সেবা ও ত্যাগের মনোভাব না থাকলে এ ধরনের কাজে অংশ নেওয়া যায় না। দেশের মানুষ যখন বিপদে পড়েছে তখন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যার ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মহৎ হৃদয়ের পরিচয় দিয়েছেন। একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপ যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটা সেবার দৃষ্টান্ত।
বসুন্ধরা গ্রুপের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর একটি দল পরির্দশন করে পরবর্তীসময়ে এটাকে অস্থায়ী হাসপাতাল বা আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। কোভিড-১৯ বিপর্যয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সরকারের যতদিন ব্যবহারের প্রয়োজন শেষ না হবে ততদিন আইসিসিবিকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে এখানে দুই হাজার ৭১ শয্যার অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করার জন্য কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে প্রয়োজন দেখা দিলে এটিকে পাঁচ হাজার শয্যায় রূপান্তর করা যাবে। এ কার্যক্রম শুরু হয়ে গেলে বাংলাদেশে এটিই হবে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য বৃহত্তম সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২০
এসই/এএ