ঢাকা, সোমবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২০ রবিউস সানি ১৪৪৭

স্বাস্থ্য

চায়ে চুমুকেই মাথা খোলে, ক্যামেলিন কমায় ক্যান্সার

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:০৯, মে ২, ২০১৫
চায়ে চুমুকেই মাথা খোলে, ক্যামেলিন কমায় ক্যান্সার

একটু চাঙা হওয়ার জন্য চায়ের কাপে চুমুক বসানোর কথা অনেকেই বলেন। কিন্তু চা কি কেবল আপনাকে রিল্যাক্সডই করে? ‍না।

আরও কিছু শারীরিক সুবিধা আপনি পেতে পারেন চায়ের অভ্যাস থেকে। যার অন্যতম হচ্ছে, চা আপনার মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এ কথা গবেষণা প্রসূত।

এককাপ ব্ল্যাক কিংবা গ্রিন টি পানের আধা ঘণ্টার মধ্যে শরীরের নিউরোলোজিক্যাল কাজ বেড়ে যায় বলেই গবেষণায় দেখা গেছে। আর তা সরাসরি আপনার মস্তিষ্কের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিশেষ করে স্মৃতিশক্তি আর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ায় এই চা।

এই কাজ করতে চায়ের কোন উপাদানগুলো সরাসরি ভূমিকা রাখে তা অবশ্য গবেষকদের কাছে এখনো অস্পষ্ট, তবে আরো আগের গবেষণাগুলো বলেছে চায়ে যে ফ্লেভোনয়েডস নামের যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তা একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এই শক্তিটা স্রেফ অকেজো হয়ে যায় যখন চায়ের সঙ্গে দুধ মেশানো হয়।

চা প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখে সে কথা আগেই ভাবা হয়েছিলো, এছাড়াও বলা হয়েছে চায়ে রক্ত কণিকার কাজ করার ক্ষমতা বাড়ায় আর আর্টারিগুলোতে জট কমায়।
কিন্তু সবশেষ গবেষণা বলছে চা স্নায়ুবিক কার্যক্রমেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা চা পানের পর মস্তিষ্কে যে তরঙ্গের সৃষ্টি হয় তা পর্যবেক্ষণ করেই এই মত দিয়েছেন।

প্রথমে মস্তিষ্কের কাজগুলো মেপে নিয়ে কালো আর সবুজ চা থেতে দেন আট স্বেচ্ছাসেবীকে। এতে তাদের মাথায় বসানো ইলেক্ট্রোডে ধরা পরে তিন ধরনের মস্তিষ্ক তরঙ্গ। এগুলো হচ্ছে আলফা, বেটা ও থেটা।

৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে থেটার তরঙ্গ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। অপেক্ষাকৃত কম হলেও আলফা ও বেটার তরঙ্গও বাড়ে উল্লেখযোগ্য হারে। এইসব তরঙ্গ মানব মস্তিষ্কের সতর্কতা, স্মৃতি ও যৌক্তিক বোধের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

গবেষক দলের প্রধান ড. এডওয়ার্ড ওকেলো নিউ ক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনাল প্ল্যান্ট গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক। তার মতে, চা অনেক

মানসিক উপকারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এর মধ্যে রয়েছে মনোযোগিতা বাড়ে, মনকে স্বচ্ছ রাখে চাঙ্গা করে।

ক্যামোমিল চা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
গবেষকরা বলেছেন ক্যামোমিল চা পানে থাইরয়েড ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। ৫০০ জন গ্রিক চা প্রেমীর ওপর গবেষণা চালিয়ে এথেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই মত দিয়েছেন।

এদের মধ্যে ১১৩ জন ছিলেন সরাসরি থাইরয়েড ক্যান্সারের রোগী। ২৮৬ জন ছিলেন থাইরয়েড রোগাক্রান্ত আর ১৩৮ জন ছিলেন সুস্থ।

ইউরোপীয় জার্নাল অব পাবলিক হেলথ-এ প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে ক্যামোমিল চা পানে থাইরয়েড রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।

সপ্তাহে দুই থেকে ছয় বার এই হারবাল চা পান করলে থাইরয়েড ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে ৭০ ভাগ, আর থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে ৮৪ ভাগ।

বাংলাদেশ সময় ১০০৫ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৫
এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।