মানবদেহের ত্বক শ্বাস নেয় লোমকূপের মাধ্যমে। এখান দিয়েই ত্বক থেকে ঘাম ও তেল নিঃসৃত হয়।
লোমকূপ বন্ধ হলে কী হতে পারে?
ব্রণ ও ফুসকুড়ির ঝুঁকি বাড়ে। ত্বকে চুলকানি ও জ্বালাভাব দেখা দিতে পারে। ঘামের সঙ্গে ব্যাকটেরিয়া জমে সংক্রমণ হতে পারে। চুলকূপে প্রদাহ (Folliculitis) তৈরি হয়ে ব্যথাযুক্ত দাগ হতে পারে।
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলেই লোমকূপ সুস্থ রাখা সম্ভব। প্রতিদিন অন্তত একবার গোসল করতে হবে। বাইরে থেকে এলে অবশ্যই শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ১-২ বার হালকা স্ক্রাব ব্যবহার করলে মৃতকোষ দূর হয় ও লোমকূপ খোলা থাকে। ঘাম হওয়ার পরপরই পরিষ্কার কাপড় পরতে হবে, যাতে ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া জমতে না পারে। পর্যাপ্ত পানি পান ও সুষম খাদ্যাভ্যাস ত্বক ভেতর থেকে সুস্থ রাখে।
সতর্কতা
খুব টাইট পোশাক পরলে ঘাম জমে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে, তাই ঢিলেঢালা ও বাতাস চলাচল করে এমন পোশাক বেছে নিতে হবে। কারও যদি দীর্ঘস্থায়ী ব্রণ বা ফুসকুড়ির সমস্যা থাকে, তবে দেরি না করে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরের লোমকূপ সুস্থ ও পরিস্কার রাখলে শুধু সৌন্দর্যই নয়, বরং সংক্রমণ ও জটিলতা থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা ও সচেতন জীবনযাপনই সুস্থ ত্বকের চাবিকাঠি।
এমজে