এশিয়ান কাপ বাছাই সামনে রেখে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচকে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি ভেবেছিল বাংলাদেশ দল। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা জয়ের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চেয়েছিলেন, অধিনায়ক জামাল ভূইয়াও আশা করেছিলেন জোড়া জয় নিয়ে দেশে ফেরার।
প্রায় তিন বছর আগে, ২০২২ সালে একই ভেন্যুতে নেপালের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ এলেও ব্যবধান ঘুচল না; অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হলো।
প্রথমার্ধে কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। ৩০ মিনিটে নেপালের মনি কুমার লামার ফ্রি কিক থেকে অনন্ত তামাংয়ের হেড ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশ গোলকিপার সুজন হোসেন। এরপর ৩৯ মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বলে সুমন রেজার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
দ্বিতীয়ার্ধেও গোল খোঁজে বাংলাদেশ। ৫১ মিনিটে রহমত মিয়ার লং থ্রো থেকে সুমন রেজার হেডে বল পেয়ে গিয়েছিলেন তারিক কাজী, তবে তার আগেই নেপালি ডিফেন্ডার জুং কার্কি বল ক্লিয়ার করে দেন। ৭৬ মিনিটে তাজ উদ্দীনের নেওয়া শট নেপাল অধিনায়ক কিরণ চেমজং ধরে ফেলেন।
শেষ দিকে রাকিব হোসেনের ক্রসে আরিফ হোসেন বল ছুঁতে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই।
৬৫ মিনিটে জামালের বদলে নামেন কাজেম শাহ এবং সাদের বদলে ছোট ভাই তাজ উদ্দীন। শেষ দিকে (৮৫ মিনিটে) তাজকেও দেখতে হয় হলুদ কার্ড।
৯ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতে (দশরথ স্টেডিয়াম) দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে আবার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নেপাল। এ ম্যাচেই জয়ের স্বাদ পেতে মরিয়া থাকবে জামাল-রাকিবরা।
এআর/জেএইচ