শেষ পর্যন্ত আবারও হতাশাই সঙ্গী হলো লাল-সবুজের তরুণদের। সুযোগ তৈরি করেও ফিনিশিংয়ের অভাব, তার সঙ্গে অগোছালো বদল সব মিলিয়ে ম্যাচের যোগ করা সময়ে ইয়েমেনের কাছে হারতে হলো বাংলাদেশকে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দোহায় অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ১-০ গোলের পরাজয়ে কার্যত বিদায় নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষে ৯০+৪ মিনিটে গোল করেন ইয়েমেনের বদলি খেলোয়াড় মোহাম্মদ এসাম আল আওয়ামি।
এই জয়ে দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে ইয়েমেন। অন্যদিকে, সমান ম্যাচে এখনো শূন্য হাতে বাংলাদেশ। তাত্ত্বিকভাবে বিদায়ের সমীকরণটা সম্পূর্ণ হয়নি ঠিকই, তবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা শেষ এবং সেরা রানার্সআপ হয়ে এশিয়ান কাপে খেলার সম্ভাবনাও এখন প্রায় নেই বললেই চলে। বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ৯ সেপ্টেম্বর, প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর।
পুরোপুরি আধিপত্য না থাকলেও প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। আল আমিন ও মোরছালিনরা বেশ কয়েকবার প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে চাপ তৈরি করেন। বিশেষ করে ৩২ মিনিটে প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে মোরছালিনের নেওয়া শট বিপদে ফেলেছিল ইয়েমেন গোলকিপার ওসামা আলী মসরেফকে। কর্নার থেকে আরেকটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধে ঢিমেতালে শুরু হলেও শেষ দিকে আক্রমণ বাড়ায় ইয়েমেন। ৬৩ মিনিটে কোচ হাসান আল মামুন একসঙ্গে দুই পরিবর্তন করে নামান রাব্বি হোসেন রাহুল ও রাজু আহমেদ জিসানকে। তবে তাদের নামার পর ছন্দ হারায় দল। পরে মিরাজুলের জায়গায় নামেন আকাশ ফয়সাল, যিনি প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হন।
৭৭ মিনিটে ইয়েমেন অধিনায়ক ইমাদ হামুদের ফ্রি কিক কর্নারে রক্ষা করেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। একের পর এক আক্রমণে বাংলাদেশের ডিফেন্সে চাপ বাড়তে থাকে।
৮৭ মিনিটে বাজে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন মজিবর রহমান জনি। ১০ জনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। এর পরপরই একাধিক সুযোগ তৈরি করে ইয়েমেন, তবে শেষ ভরসা হয়ে দাঁড়ান শ্রাবণ।
যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে সবকিছু ভেঙে যায়। ইয়েমেনের আব্দুর রহমান আল শামির কাটব্যাক থেকে গোল আদায় করেন এসাম আল আওয়ামি। ডান দিকের কোনা দিয়ে বল জালে জড়ালে স্তব্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশ রক্ষণভাগ। পোস্টে তখন ৫-৬ জন খেলোয়াড় থাকলেও কেউ বাধা দিতে পারেননি। আর শ্রাবণের চোখের সামনে দিয়েই বল জড়ায় জালে।
এআর/জেএইচ