ঢাকা, শনিবার, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১৪ সফর ১৪৪৭

ফিচার

ইরানে সংখ্যালঘুদের অধিকার, পশ্চিমা অভিযোগ ও বাস্তবতা

আশরাফুর রহমান, তেহরান থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০১, আগস্ট ৯, ২০২৫
ইরানে সংখ্যালঘুদের অধিকার, পশ্চিমা অভিযোগ ও বাস্তবতা ইরানের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে সহাবস্থান করে আসছে

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান বহু জাতি ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের দেশ—যেখানে পার্সি, আজারি, কুর্দি, বেলুচ, আরব, লোর, তুর্কমেনসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী এবং খ্রিস্টান, ইহুদি, জরথুস্ত্রী, শিয়া ও সুন্নি মুসলমানেরা যুগ যুগ ধরে সহাবস্থান করে আসছে। কিন্তু পশ্চিমা দেশসমূহ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা প্রায়শই অভিযোগ তোলে যে, ইরানে সংখ্যালঘুদের ওপর অন্যায়-অবিচার চলছে।

এই নিবন্ধে সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার, বাস্তব চিত্র ও পশ্চিমাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।

সংখ্যালঘু অধিকার সংক্রান্ত সংবিধানিক কাঠামো

ইরানের সংবিধানের ১৩তম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী খ্রিস্টান, ইহুদি এবং জরথুস্ত্র ধর্মাবলম্বীদের ‘স্বীকৃত ধর্মীয় সংখ্যালঘু’ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। তারা নিজ নিজ ধর্ম, রীতি ও পারিবারিক আইন অনুযায়ী জীবনযাপন করতে পারেন। সংবিধানের ১৫ ও ১৯ অনুচ্ছেদ ভাষা ও জাতিগত বৈচিত্র্যকে স্বীকৃতি দিয়ে সমানাধিকারের নিশ্চয়তা দেয়।

ইরানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা তাদের উপাসনালয় (কেনিসা, চার্চ, অগ্নিমন্দির) পরিচালনা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে স্বাধীন। এসব উপাসনালয় মুসলমানদের মসজিদের মতোই করমুক্ত সুবিধা, পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও ফোন বিলের ক্ষেত্রে ছাড় পায়।

বাস্তবধর্মী পরিসংখ্যান ও সুবিধাসমূহ

জাতীয় মানবাধিকার সদরদপ্তরের সর্বশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে: ইরানে ৩০০টির বেশি চার্চ মুক্তভাবে কাজ করছে, ৪০টি চার্চ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় পুনর্নির্মাণ হয়েছে, ৫৭টি স্বীকৃত সংখ্যালঘু সংগঠন বার্ষিক সরকারী অনুদান পায়, ৯৩টি সংখ্যালঘু-নির্দিষ্ট বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে এবং ৯টি বিচারিক শাখা সংখ্যালঘুদের পারিবারিক আইন মেনে মামলা পরিচালনা করে।

সংখ্যালঘুদের জন্য ইতিবাচক বৈষম্য

ইরানে সাধারণভাবে প্রতি ৩ লাখ মানুষের জন্য একজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য এই অনুপাত প্রতি ৩০ হাজারে একজন, যা মূলত একটি ‘ইতিবাচক বৈষম্য’ হিসেবে গণ্য করা হয়। সংবিধানের ৬৪তম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ইরান পার্লামেন্টে ৫টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে।


ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সুন্নি আলেমদের সাক্ষাৎ

সুন্নি মুসলমানদের অধিকার

ইরানের বৃহত্তম ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী হচ্ছে সুন্নি মুসলমানরা, যাদের সংখ্যা প্রায় ৮–১০ শতাংশ। তারা মূলত কুর্দিস্তান, বেলুচিস্তান, খোরাসান ও দক্ষিণাঞ্চলে বসবাস করেন। ইরানের সংবিধান অনুযায়ী সুন্নি মুসলমানরা শিয়াদের মতোই ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও আইনগত স্বাধীনতা ভোগ করে। সুন্নি অধ্যুষিত অঞ্চলে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিষয়ে সুন্নি ফিকহ (হানাফি/শাফেয়ি) অনুযায়ী বিচার করা হয়।

সংবিধানের ১২তম ধারায় বলা হয়েছে, ‘ইরানের সরকারি মাজহাব হলো ইসনা আশারিয়া (বারো ইমামি) মাজহাব। তবে হানাফি, শাফেয়ি, মালেকি এবং হাম্বলি মাজহাবসমূহ ইসলামি মাজহাব হিসাবে সম্মানিত এবং তাদের অনুসারীদের ব্যক্তিগত আইন (বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ইত্যাদি), ধর্মীয় অনুশাসন ও ধর্মীয় শিক্ষা স্বাধীনভাবে পালন করার অধিকার আছে।

রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সুন্নিদের অংশগ্রহণ

ইরানের সংবিধানে সুন্নি মাজহাবের অধিকারের যে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, তার বাস্তবায়ন দেখা যায় সরকার ও প্রশাসনে। সংবিধান অনুযায়ী সুন্নি নেতারা সব নির্বাচনী এলাকা থেকে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এবং ভোটে উন্নীত হতে পারেন। ইরানের সামরিক বাহিনী, বিশেষত সামরিক পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও সেনাবাহিনীতেও সুন্নিদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

বর্তমানে সুন্নি মুসলমানদের মধ্য থেকে একজন ভাইস-প্রেসিডেন্ট, ২২ জন সুন্নি সংসদ সদস্য, ৪০ জন জেলা প্রশাসক, ১১৬ জন উপজেলা প্রশাসক, ১৪৬ জন মেয়র, ৮১ জন বিচারক এবং সহস্রাধিক সরকারি কর্মচারী প্রশাসন ও বিচার বিভাগে কর্মরত আছেন।

ইরানে খ্রিস্টান সম্প্রদায় কেমন আছে?

ইরানি খ্রিস্টানরা, অন্যান্য ঐশী ধর্মের অনুসারীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে একসঙ্গে বসবাস করছে এবং দেশের একটি উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অংশ তারা। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে ইরানে ২০টি সরকারি গির্জা রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি যেমন ‘কারা চার্চ’ (সেন্ট থাডিউস চার্চ বা টাটাভাস চার্চ) এবং ‘সেন্ট স্টিফেনস চার্চ’ বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টান ধর্মীয় ভবনের অনন্য উদাহরণগুলোর মধ্যে একটি এবং এগুলোকে স্থাপত্য মডেল হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মঞ্চে ইরানি খ্রিস্টানদের সর্বদাই একটি বিশেষ উপস্থিতি রয়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে ইরাকি বাথ সরকারের আরোপিত যুদ্ধের সময়, ইরাকি বাথ সরকারের আগ্রাসনের মুখে কয়েক ডজন খ্রিস্টান নাগরিক শহীদ হন এবং তাদের নাম শহীদদের মধ্যে রয়েছে। এই অংশগ্রহণ তাদের মাতৃভূমির প্রতি তাদের অনুরাগের প্রমাণ।

যিশু খ্রিস্টের (সা.) জন্ম উপলক্ষে অ্যাসিরীয় শহীদ ‘রবার্ট লাজার’-এর পরিবারের সঙ্গে সাইয়্যেদ আলী খামেনেনির সাক্ষাৎ

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের পর সবচেয়ে বেশি ইহুদি ইরানে

বর্তমানে আনুমানিক ১৭ হাজার থেকে ২৫ হাজার ইহুদি নাগরিক ইরানে বাস করছেন, যাদের অধিকাংশের বসবাস তেহরান, ইস্পাহান, শিরাজ, হামেদান ও তাবরিজের মতো শহরে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের বাইরে সবচেয়ে বেশি ইহুদি জনগোষ্ঠী রয়েছে ইরানেই। দেশটির জাতীয় সংসদ ‘মজলিশে’ এই সম্প্রদায়ের জন্য একটি আসন সংরক্ষিত আছে।

ইহুদিদের ধর্মীয় ও সামাজিক অবকাঠামোর উপস্থিতিও ইরানে সুপ্রতিষ্ঠিত। রাজধানী তেহরানে ছড়িয়ে রয়েছে অন্তত ৫০টি সিনাগগ (ইহুদিদের প্রার্থনাগৃহ)। ইস্পাহানে আল-আকসা নামে একটি মসজিদের পাশেই রয়েছে একটি বিখ্যাত সিনাগগ। ইরানে ইসলাম ও ইহুদি সম্প্রদায়ের দুই ধর্মীয় স্থাপনার পাশাপাশি অবস্থানকে ধর্মীয় সহাবস্থানের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। তেহরানে ইহুদি সম্প্রদায়ের পরিচালিত একটি হাসপাতালও রয়েছে, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই চিকিৎসাসেবা পেয়ে থাকেন।

ইরানের আবরিশামি সিনাগগের প্রবীণ রাব্বি ইয়োনেস হামামি লালেহজার এক সাক্ষাৎকারে আল-জাজিরাকে বলেছিলেন, ‘আমরা দুই হাজার ৭০০ বছর ধরে ইরানে বসবাস করছি। পারস্য রাজবংশের সময় থেকেই আমাদের ইতিহাস এই ভূখণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ’

সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ বিচারিক শাখা

ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত মামলার নিষ্পত্তির জন্য ‘বিশেষ সালিশি পরিষদ’ গঠন করা হয়েছে। যেমন: ২০২১ সালে তেহরানে ‘জরথুস্ত্রীয়’ নাগরিকদের জন্য একটি বিশেষ আদালত চালু হয়। এই আদালতগুলো অন্যান্য সাধারণ আদালতের পাশাপাশি কাজ করে। বর্তমানে ৯টি বিশেষ আদালত খ্রিস্টান (আরামেনি ও আসুরি), ইহুদি ও জরথুস্ত্রীয় নাগরিকদের মামলার বিচার করছে। এই আদালতগুলো রয়েছে: তেহরান, ইস্পাহান, ইয়াজদ, করমান, ফার্স, মাজান্দারান ও পশ্চিম আজারবাইজানে।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম

সংখ্যালঘু ও জাতিগত সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষায় ইরানের সংস্কৃতি ও ইসলামিক গাইডেন্স মন্ত্রণালয় ১৪০৩ সালের জুনে সংশোধিত আইনের ভিত্তিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন—
•    ৩৭৬টি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক জমায়েত, উৎসব, অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি প্রদান
•    ৬৯টি বিদেশি ধর্মীয় প্রতিনিধির জন্য কাজ ও ভ্রমণের অনুমোদন
•    ৭০টি ধর্মীয় ও জাতীয় উপলক্ষে প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক
•    সংখ্যালঘু প্রকাশকদের ১৫৭টি বই প্রকাশের অনুমোদন
•    ধর্মীয় সংস্থা ও গবেষণার জন্য ৫৭৮টি পরিচয়পত্র ইস্যু
•    ১০৭টি সম্মেলন ও উৎসব আয়োজন
•    সংখ্যালঘু অঞ্চলের সংবাদমাধ্যমে আর্থিক সহায়তা ও সরকারি বিজ্ঞাপন
•    এসব সংবাদমাধ্যমকে ৪১২,৪১৮ কেজি ডলার রেটে কাগজ সরবরাহ

সংখালঘুদের অবমাননার বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান

২০১৮ সালে ইরানের সংসদ একটি প্রস্তাব পাস করে, যার ভিত্তিতে সংবিধানে স্বীকৃত ধর্ম ও ধর্মীয় গোষ্ঠী, ইরানি জাতিগোষ্ঠী এবং তাদের ভাষা-সংস্কৃতির প্রতি অবমাননা করলে তিন মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান জারি করা হয়। ২০২১ সালে এই আইন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় এবং এতে স্পষ্টভাবে বলা হয়, কেউ যদি সামাজিক উত্তেজনা বা সহিংসতা সৃষ্টি করতে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন অবমাননাকর কাজ করেন—তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এই আইন মিডিয়া, বক্তৃতা ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও একইভাবে প্রযোজ্য। এটি প্রমাণ করে, ইরান সরকার জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষায় আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছে।

পশ্চিমা অভিযোগ: তথ্য, উদ্দেশ্য ও বিতর্ক

পশ্চিমা দেশগুলো বারবার ইরানে সংখ্যালঘুদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ এনেছে।
১. জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক আহমেদ শাহিদ (২০১৯) বলেন, “ইরান সরকার ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানদের গ্রেপ্তার করছে, যদিও তারা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্ম পালন করছেন। "

২. জেনেভায় আন্তর্জাতিক এক অধিবেশনে আর্টিকেল-১৮ সংস্থা অভিযোগ করে, “ইরানে খ্রিস্টান ধর্মান্তরিত ব্যক্তিরা নিয়মিত নজরদারি, গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদের শিকার হন। ”

এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইরান সংসদের আশুরীয় প্রতিনিধি শার্লি আনুয়ে তেকিয়া, যিনি দাবি করেন, “খ্রিস্টান, ইহুদি ও জরথুস্ত্রীরা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত এবং তারা পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করে। ”

আর্টিকেল-১৮ এর প্রতিনিধি পাল্টা প্রশ্ন করেন: “আপনি যে সমানাধিকার বলছেন, তা কি ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য?”

উত্তরে আনুয়ে তেকিয়া বলেন, “ভিক্টর বেততেমার্জ ও আফশার নাদেরি ইসরায়েলি ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা প্রকৃত খ্রিস্টানরা কোনো সমস্যা ভোগ করি না। ”

পশ্চিমাদের দ্বিমুখী মানবাধিকার চর্চা?

ফ্রান্সে হিজাব নিষিদ্ধ, জার্মানিতে কুরআন পোড়ানো বা ভারতের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নিয়ে পশ্চিমারা যতটা নিশ্চুপ থাকে, ইরান নিয়ে ততটাই সরব হয়। অথচ ইরানে খ্রিস্টান চার্চ, ইহুদি সিনাগগ ও জরথুস্ত্রীয় উপাসনালয় কার্যকরভাবে চালু রয়েছে এবং সরকারিভাবে সংরক্ষিতও।

এমনকি শাসকপন্থি আশুরীয় সাবেক সাংসদ ইউনাতান বেতকেলিয়া-ও কিছু আইনি বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিলেন, যা ইঙ্গিত দেয়—সমালোচনা দমন না করে ইরানে তা অন্তত আলোচনার জায়গা পায়।

উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চলে সহনশীলতার একটি মডেল

মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ ধর্মীয় উত্তেজনার সম্মুখীন হলেও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ইরান ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বসবাসের জন্য একটি নিরাপদ দেশ। সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রশ্নে ইরানে একটি জটিল বাস্তবতা বিরাজমান। সংবিধান ও পরিসংখ্যানগতভাবে একটি সহনশীল কাঠামো দৃশ্যমান হলেও ধর্মান্তর বা জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারের কঠোরতা আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার জন্ম দেয়। তবে একপেশে সমালোচনার আগে পশ্চিমাদের উচিত—নিজ নিজ দেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য দূর করে উদাহরণ স্থাপন করা। ইরান তার ঘাটতি স্বীকার করেও বলছে, “আমাদের আইন, ইতিহাস ও সমাজ—সবই বহুবিচিত্র, কিন্তু এ বিভেদ বিভাজনে নয়, সমন্বয়ে রূপ নিতে পারে। ”

সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা শুধু নীতির বিষয় নয়, বরং এটি একটি বিশ্বাসেরও প্রতিফলন।

এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।