ঢাকা, রবিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

দুর্লভ বুনো ফল ‘আঠাগোটা’

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩:৩৫, জুলাই ১০, ২০১৮
দুর্লভ বুনো ফল ‘আঠাগোটা’ ঘুড়ি তৈরিতে এই ফলটির আঠা বেশ কার্যকর। ছবি- বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: আমাদের চারপাশে প্রকৃতিতে এখনো এমন কিছু বৃক্ষ ও ফল রয়েছে যা আমাদের অদেখাই রয়ে গেছে। তেমনি এক অদেখা পাহাড়ি ফল ‘আঠাগোটা’। এটি অর্ধ-বৃত্তাকার এবং হালকা হলুদ বর্ণের।
 

বাংলাদেশে এই উদ্ভিদটি এখন আর চোখে পড়ে না। সিলেট অঞ্চল বিশেষত মৌলভীবাজার জেলায় এই দুর্লভ বৃক্ষটি রয়েছে বলে উদ্ভিদ গবেষকরা জানান।


 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বাংলানিউজকে এই বিরল ফল সম্পর্কে বলেন, এর ইংরেজি নাম Glue Plant, ‘গ্লো-প্লান্ট’। এরা Boraginaceae পরিবারভুক্ত উদ্ভিদ। এর বাংলা নাম ‘আঠাগোটা’। তবে কুষ্টিয়া অঞ্চলে একে ‘বওড়া’ বলা হয়। এটি বুনো ফল।
 
এ ছবির প্রাপ্তি সম্পর্কে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা সরকারি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসার মো. আবদুল কাফি এই ফলের ছবিটি পাঠিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোজাদ্দেদি আলফাসানির কাছে। পরে প্রফেসর ড. মোজাদ্দেদি ফলটি আইডি শনাক্ত করার জন্য আমার কাছে নিয়ে আসেন। তখন আমি এটিকে শনাক্ত করি।

ফলটি সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ঘুড়ি বা গুড্ডি বানাতে এই ফলের আঠা খুব কার্যকর। এ বৃক্ষটির আদি নিবাস চীন। তবে আমাদের দেশ ছাড়াও ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে এর বৈশ্বিক বিস্তৃতি রয়েছে।

প্রখ্যাত বন্যপ্রাণী গবেষক ও লেখক ড. রেজা খান জানান, এই গাছে ফল আসলে ধনেশ, হরিয়াল, এবং এক ধরনের সবুজ কবুতর এই গোটা খেতে আসতো দলে দলে। এছাড়াও ফলভূজি অন্যান্য প্রাণীও এই ফলটি খেতে আসতো। তখন পাখি শিকারীরা এই গাছকে টার্গেট করে সেই সব পাখিদের শিকার করতো। এ বৃক্ষের ফল এখন দুর্লভ।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮
বিবিবি/জেডএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।