‘কোনো শিল্পীই বলবে না, আমার তৃষ্ণা মিটে গেছে। কোনো শিল্পীই বলবে না, এখন আর আমার কোনো স্বপ্ন নেই।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) এই বরেণ্য অভিনেত্রীর জন্মদিন। এবার ৭০ বছরে পা রাখলেন তিনি। ১৯৫৩ সালের এই দিনে ঢাকার গ্রিন রোডে জন্মগ্রহণ করেন ডলি জহুর। বেড়ে ওঠাও সেখানেই। শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেন।
জন্মদিনে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ডলি জহুর। তবে জন্মদিনকে ঘিরে তার নিজের কোনো আয়োজন থাকছে না। কারণ তিনি রাজধানীর উত্তরাতে একাই বাসায় থাকেন। একমাত্র ছেলে তার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া থাকেন।
জন্মদিন উপলক্ষে ডলি জহুর বলেন, ‘দেখতে দেখতে জীবনের কতগুলো বছর পেরিয়ে এলাম। আজ সত্তরে পা রাখছি। পেশাগতভাবে আমি একজন অভিনয়শিল্পী। সারাটা জীবন অভিনয়ই করে গেছি। যখন যে কাজটি করেছি মন দিয়েই করার চেষ্টা করেছি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘কোন কাজ করে কী সম্মানী পাব সেটা নিয়ে কখনো ভাবিনি। শুধু ভাবনায় ছিল আমাকে যে চরিত্রটি দেওয়া হয়েছে তাতে যেন ঠিকঠাক মতো অভিনয়টা করে যেতে পারি। এদেশের কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি আমি শুধু অভিনয় করেই। অভিনয় ছাড়াতো জীবনে আর কিছু পারি না, তাই এখনো অভিনয় করতেই ভালো লাগে। ’
এরই মধ্যে তিনি তৌকীর আহমেদের পরিচালনায় একটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন। এ ছাড়াও মহিন খানের নির্দেশনাতেও তিনি আরও একটি একক নাটকের কাজ শেষ করেছেন। এতে তার সঙ্গে অভিনয় করেছেন নিলয় আলমগীর ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি।
বলে রাখা যায়, ২০২১ সালে ডলি জহুরকে ‘আজীবন সম্মাননা’ প্রদান করা হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে। ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ও ‘ঘানি’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়াকালীন তিনি মঞ্চ নাটকের সঙ্গে যুক্ত হন।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রে ‘নতুন বউ’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘আগুনের পরশমণি’, ‘কুলি’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘বিচার হবে’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘অনন্ত ভালোবাসা’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘সন্তান আমার অহংকার’, ‘মন বসেনা পড়ার টেবিলে’ ইত্যাদি।
এনএটি