ঢাকা, সোমবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০৯ সফর ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

ইসির সাবেক দুই কর্মকর্তাকে নিয়ে বিএনপির সীমানা নির্ধারণ কমিটি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৪৩, আগস্ট ৩, ২০২৫
ইসির সাবেক দুই কর্মকর্তাকে নিয়ে বিএনপির সীমানা নির্ধারণ কমিটি ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক দুই কর্মকর্তাকে নিয়ে জাতীয় সংসদের সীমানা পুনর্নির্ধারণের পর্যালোচনা ও সমন্বয় কমিটি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (৩ জুলাই) গণমাধ্যমে দলটির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে চলমান কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে পর্যালোচনা ও সমন্বয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে আহ্বায়ক করে গঠিত পাঁচ সদ্যসের ওই কমিটিতে সদস্য সচিব হচ্ছেন রুহুল কবির রিজভী। অন্য তিন সদস্য হলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন মৃধা, ইসির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. জকোরিয়া ও ইসির সাবেক উপ-সচিব মো. সামসুল আলম।

২০০৬ সালের ‘বিতর্কিত’ আজিজ কমিশনের সময় অতরিক্ত সচিব থেকে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেন ড. মো. জকোরিয়া। যদিও পরবর্তীতে সরকার থেকে সচিব নিয়োগ দেওয়া হলে তিনি ফের অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্বে ফিরে যান। জকোরিয়ার পর আর কোনো কর্মকর্তা ইসি সচিবের দায়িত্ব পাননি। এর আগে সম জাকারিয়া পদোন্নতি পেয়ে ইসি সচিব হয়েছিলেন, যিনি পরবর্তীতে আজিজ কমিশনের অধীনে নির্বাচন কমিশনার হয়েও ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।

এদিকে ইসির সাবেক উপ-সচিব কয়েক বছর নির্বাচন পরিচালনা শাখায় দায়িত্ব পালনের পর ২০১৭ সালের দিকে অবসরে যান। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তথ্য পাঁচারের অভিযোগে তাকে মামলা দিয়েছিল ইসি।

গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ৬টি করা হয়েছে। এবং বাগেরহাটের আসন ৪টি থেকে কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া পরিবর্তন আনা হয়েছে ৩৯টি আসনে। এগুলো হলো-পঞ্চগড় ১ ও ২; রংপুর ৩; সিরাজগঞ্জ ১ ও ২; সাতক্ষীরা ৩ ও ৪; শরিয়তপুর ২ ও ৩; ঢাকা ২,৩,৭,১০,১৪ ও ১৯; গাজীপুর ১,২,৩,৫ ও ৬; নারায়ণগঞ্জ ৩,৪ ও ৫; সিলেট ১ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩; কুমিল্লা ১,২,১০ ও ১১; নোয়াখালী ১,২,৪ ও ৫; চট্টগ্রাম ৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট ২ ও ৩ আসন।

ইসির প্রকাশিত খসড়ার ওপর আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত আপত্তি জানানো যাবে। এরপর দাবি-আপত্তি শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন আসন নিয়ে দাবি-আপত্তি জানানো শুরু হয়েছে।

সীমানা পুনর্ধিারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের বলেছেন, ৬৪ জেলার গড় ভোটার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৫০০। এটা ধরে জেলায় একটি আসন বাড়ালে তা গাজীপুরে হবে। এ গড়ের কম বাগেরহাটে একটি কমালে সমতা চলে আসে। দুই জেলার আসনই এফেক্টেড হয়েছে। আর কোথাও ঝামেলা নেই। ৩৯টি আসনে অ্যাডজাস্টমেন্ট রয়েছে।

ইইউডি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।