ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২ মহররম ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

আ.লীগের সব নেতাকে ভোটে অযোগ্য ঘোষণার দাবি ইসিতে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:১৩, জুলাই ৭, ২০২৫
আ.লীগের সব নেতাকে ভোটে অযোগ্য ঘোষণার দাবি ইসিতে নির্বাচন ভবন ও আওয়ামী লীগ কার্যালয় | ফাইল ছবি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের সব কমিটির নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা দাবি জানিয়েছেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম)।

সোমবার (০৭ জুলাই) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএ নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এ দাবি জানিয়েছে দলটি।

এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের নির্বাহী আদেশে যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা বা নিবন্ধন স্থগিত থাকা রাজনৈতিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় বা জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের কমিটির সদস্য এবং অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো সদস্যকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।

তিনি বলেন, নিবন্ধন স্থগিত বলতে আমরা আওয়ামী লীগকেই বুঝিয়েছি। আইন যেহেতু হয়েছে, সে আইনের স্পিরিট মানতে হবে। তাই ইসি যেন তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা ব্যবস্থা খুঁজে বের করে।

তিনি বলেন, বৈঠকে আমরা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত ঋণের জামিনদারদের ক্ষেত্রে ঋণের মূল আবেদনকারী খেলাপি হলে মনোনয়নপত্র দাখিলের পূর্বে ঋণ পরিশোধ স্লিপ প্রদান সাপেক্ষে প্রার্থীকে নির্বাচনের যোগ্য বিবেচিত করার কথা বলেছি।


সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ

ববি হাজ্জাজ আরও বলেন, বিদ্যমান আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সুতরাং আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এসংক্রান্ত আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। আসন পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে জেলার মোট আসন অপরিবর্তিত রাখতে হবে। এক জেলায় অবস্থিত সংসদীয় আসন অন্য জেলায় স্থানান্তর করা যাবে না, যেখানে সম্ভব উপজেলাকে অবিভাজিত রাখতে হবে।

আসন পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা, বিভিন্ন আসনের মধ্যে ভোটার সংখ্যার তারতম্য, ভৌগলিক সীমারেখা এবং যাতায়ত ব্যবস্থা, জনপ্রত্যাশা ইত্যাদি বিষয়কে প্রাধান্য দিতে হবে।

নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় সংসদীয় আসনের নির্দিষ্ট স্থানে প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর ছবি সংবলিত বিলবোর্ড স্থাপন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর উপস্থিতিতে জনবহুল স্থানে অন্তত একটি পরিচিতি সভার আয়োজন করতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীর সঙ্গে ১০ জন সমর্থককে যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ভোটের প্রচারে প্রস্তাবিত পিভিসি ব্যানার ব্যবহার না করা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কোনো প্রার্থীর ব্যক্তিগত চরিত্র হনন এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কোনো প্রচারণা চালাতে পারবে না বলে আচরণবিধিতে উল্লেখ করতে হবে। নির্বাচনী ব্যয়সীমা ৪০ লাখ টাকায় উন্নীত করতে হবে।

ববি হাজ্জাজ বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ধরে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সংলাপ আয়োজন করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় নির্বাচনের তফসিল এবং তারিখ ঘোষণা সংক্রান্ত আলোচনা হয়ে থাকলে তা দ্রুত জাতিকে জানাতে হবে।

ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।