ঢাকা, বুধবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ জুন ২০২৫, ২১ জিলহজ ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ব্যালট প্রকল্পে ২ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:২৬, জুন ১৮, ২০২৫
ব্যালট প্রকল্পে ২ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া বুধবার নির্বাচন ভবনে ইউএনডিপি ও অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনে মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপির সহায়তায় ১৮ দশমিক ৫৩ মার্কিন ডলারের ব্যালট প্রকল্পে দুই মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।

বুধবার (১৮ জুন) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের উপস্থিতিতে ইউএনডিপি ও অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনে মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলি বলেন, অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার। বাংলাদেশ যখন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার সুযোগকে স্বাগত জানাই।

তিনি বলেন, আমরা সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন থেকে পাঁচজন কর্মকর্তাকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রশিক্ষণ দিতে এবং ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের বিকল্পগুলো বোঝার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আজ আমরা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ব্যালট প্রকল্পে সরাসরি সহায়তা করার জন্য ২ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিতে পেরে আনন্দিত।

সুসান রাইলি বলেন, একটি নির্বাচিত সরকারের দিকে পরিবর্তনে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘ, ইউএনডিপি, ইউনেস্কো এবং ইউএন উইমেন-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে এই প্রকল্পটি স্বচ্ছতা, বৃহত্তর অংশগ্রহণ এবং টেকসই প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারকে সমর্থন করবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ছোট এই ভূমিকা পালন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

ইউএনডিপির বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, গত বছর পূর্ববর্তী নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়ার কিছু পরেই, তারা আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য জাতিসংঘের কাছে সহায়তা চেয়েছিল। জাতিসংঘ এই বছরের জানুয়ারিতে একটি মূল্যায়ন মিশন পাঠায়, যারা এখানে এসে বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে দেখা করে এবং আসন্ন নির্বাচনে জাতিসংঘ বাংলাদেশের জন্য যে কারিগরি সহায়তা প্রদান করতে পারে তার সীমা নির্ধারণ করার চেষ্টা করে।

গত কয়েক মাস ধরে এই সুপারিশগুলো একটি প্রকল্পে রূপান্তরিত হয়েছে, যা ব্যালট প্রকল্প নামে পরিচিত। প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকার রেকর্ড গতিতে অনুমোদন করেছে। জাতিসংঘ, নির্বাচন কমিশন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মধ্যে এটি কয়েক সপ্তাহ আগে সম্পন্ন হয়েছে এবং আমরা আজ খুব খুশি ও গর্বিত।

ইউএনডিপির বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, অস্ট্রেলিয়া এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এবং কর্মসূচির প্রথম অংশীদার, প্রথম দাতা হিসেবে এগিয়ে এসেছে এবং আমরা এতে খুবই খুশি। এই কর্মসূচি জাতিসংঘ, ইউএনডিপি, ইউনেস্কো এবং ইউএন উইমেন দ্বারা বাস্তবায়িত হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গেও আলোচনা করছি। আমরা আশা করি যে অন্যরাও বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে সমর্থন করার জন্য এগিয়ে আসবে, যাতে বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচনগুলো আয়োজন করা যায়।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আমরা ইসি গঠনের পর থেকেই ইউএনডিপির সহায়তা চেয়ে আসছি। তারা প্রথম থেকেই সহযোগিতার হাত বাড়াচ্ছেন। ব্যালট প্রজেক্টে মোট ১৮ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে।

ইসি সচিব জানান, নির্বাচনের জন্য ১৬টি কমপোন্যান্ট আছে। এই ১৬টির মধ্যে অর্থায়নের বিষয়ে ইউএনডিপির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ২ মিলিয়ন ডলারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরা আশা করি, এই প্রকল্পের ভবিষ্যতে অর্থায়নের জন্য দাতাদের সহযোগিতা পাওয়া যাবে। প্রকল্পটি ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।

আখতার আহমেদ বলেন, এই প্রজেক্টের আওতায় ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, অ্যাওয়ারনেস, ট্রেনিং, ইন্সটিটিউশনাল ফ্রেমওয়ার্ক- মোটাদাগে ১৬টি কম্পোনেন্টে এই প্রকল্প পরিচালিত হবে। আশা করি এটার বেস্ট ইউটিলাইজেশন হবে।

ইসি সচিব আরও বলেন, ভোটার রেজিস্ট্রেশন প্রসেসে তারা প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের ল্যাপটপ, স্ক্যানার, ক্যামেরা, অফিস মেশিন দিয়ে সহযোগিতা করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এই প্রকল্পের আজ এমওইউ হয়েছে।

ইইউডি/এমইউএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।