ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

তফসিলের আগের দিনও ১৮ বছর হলে ভোট দেওয়া যাবে, ভাবনা ইসির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৫
তফসিলের আগের দিনও ১৮ বছর হলে ভোট দেওয়া যাবে, ভাবনা ইসির

ঢাকা: নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের দিনও কারো বয়স ১৮ বছর হলে যেন ভোট দিতে পারেন প্রথমবারের মতো সে পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে আইনে পরিবর্তন আনার কথাও ভাবছে সংস্থাটি।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।  

তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি যেন তফসিল ঘোষণার আগেও যারা ১৮ বছর পূর্ণ করবেন, তারা যেন ভোট দিতে পারেন। এজন্য ভোটার নিবন্ধন আইনে সংশোধন আনার কথা ভাবা হচ্ছে। এতে ভোটার হওয়ার শেষ সময় হতে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ।

বর্তমান আইন অনুযায়ী, ভোট যে বছর হয়, সেই বছর ১ জানুয়ারি যারা ১৮ বছর পূর্ণ করেন তাদেরই কেবল ভোটার তালিকায় যুক্ত করতে পারে ইসি। এতে অনেকেই ভোটের সময় ১৮ বছর বয়স হলেও ভোট দিতে পারেন না। নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে অনেক তরুণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে মনে করছেন ইসি কর্মকর্তারা।

চলমান ভোটার তালিকা হালানাগাদ কার্যক্রম নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গত এপ্রিল ১১ শেষ হয়েছে। তারপরও কিছু সেন্টার আমরা চালু রেখেছি। আগামী জুনের ভেতর ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হবে।

এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও পরিশুদ্ধ ভোটার তালিকা অপরিহার্য। নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ ঘরে ঘরে গিয়ে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছে। আমরা সন্তুষ্ট, আমাদের টার্গেট ছিল ৬১ লাখ ৮৮ হাজার নতুন ভোটার নিবন্ধিত হবে। দেখা যাচ্ছে ৪৩ লাখের ওপরে বাদ পড়া ভোটার নিবন্ধিত হয়েছে। নতুন হয়েছে ১৯ লাখ ৬৬ হাজার। মোট ৬৩ লাখ ভোটার নিবন্ধিত হয়েছে। আমরা আশা করি জুনের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকাটি পেয়ে যাব।  

এখন প্রশ্ন হচ্ছে তফসিল ঘোষণার আগেও অনেকের বয়স ১৮ হবে। তারাও ভোট দিতে চায়, এবার এই তরুণরা নতুন ভোটার হবেন। নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ হবে তাদের যেন আমরা ভোটার তালিকায় যুক্ত করতে পারি এবং তারা যেন ভোট দিতে পারেন।

সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে তিনি বলেন, সীমানা নির্ধারণের আইনটি আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করেছি। একটি ছাপার ভুলের জন্য আমাদের হুবহু ঠিক রেখে নির্বাচন করতে হবে। এই ছাপার ভুলটা সংশোধনের জন্য আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। তবে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত আমরা পাইনি, পেলে সীমানা নির্ধারণের কাজটি শেষ করতে পারব।  

এক্ষেত্রে সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শেষ করতে তিন মাস লাগবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৫
ইইউডি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।